১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, স্বামী গ্রেফতার

স্ত্রীর পেটে চাকু মেরে হত্যা করা হয়েছে। এরপর দুদিন ঘরের ভেতর লাশ রেখে রাতের আধারে লাশ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার সহ স্বামীকে গ্রেফতার করে। তবে পালিয়ে যায় নিহত গৃহবধূর শ্বশুড় ও শাশুড়ি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সীমান্ত গ্রাম চিলাহাটির শাহারমোড় গ্রামে। 

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ওই লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ডোমার থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধু তিথি আক্তার (৩০) এর বাড়ি সিরাজগঞ্জে ছিল। তিথির সাথে ডোমারের চিলাহাটি শাহারমোড় গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইসলামের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে ওই গৃহবধূর বাবা, মা বা কোন স্বজন বলতে এখন  কেউ নেই। গ্রামবাসীর অভিযোগ ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ফারজানা বেগমের আচরনগত কারণে গ্রামের কোন মানুষজনের সাথে সর্ম্পক ভাল না।

আরও জানা যায়, ওই মহিলার নির্যাতন প্রতিদিন সহ্য করতে হতো তিথিকে। এর আগে ফারুকের প্রথম স্ত্রী ছিল। সেও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যায়।

সূত্র মতে, তরকারিতে লবণ বেশী হওয়ার অপরাধে শুক্রবার  (২৩ মে) দুপুরে শাশুড়ি তার পুত্রবধূ তিথিকে লাঠি দিয়ে পেটায়। ওই দিন সন্ধ্যায় স্বামী বাড়ি এলে সেও তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়ে চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে। এতে রক্তক্ষরণে তিথি মারা যায়। ঘটনটি ধাপাচাপা দিতে ও লাশ গুম করার জন্য লাশ বাড়ির ভেতরে দুইদিন ফেলে রাখা হয়।

রবিবার (২৫ মে) রাতে একটি চার্জার ভ্যানে লাশ তুলে অজ্ঞাত স্থানে দাফনের চেষ্টা চালায় স্বামী শাশুড়ি। তবে গোপনে খবর পেয়ে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ খোরশেদুল আলম পুলিশ ফোর্স নিয়ে লাশ আটক ও স্বামী ফারুককে গ্রেফতার করে। এর ফাঁকে নাতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় তিথির শ্বশুড় শাশুড়ি।

এ সময় ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ডোমার থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত স্বামী আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। নিহত গৃহবধূর কোন স্বজনকে পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়।

পাশাপাশি আজ সোমবার (২৬ মে) জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফন করা হয়েছে। আসামী স্ত্রী হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জলঢাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

স্ত্রীর পেটে চাকু মেরে হত্যা করা হয়েছে। এরপর দুদিন ঘরের ভেতর লাশ রেখে রাতের আধারে লাশ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার সহ স্বামীকে গ্রেফতার করে। তবে পালিয়ে যায় নিহত গৃহবধূর শ্বশুড় ও শাশুড়ি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সীমান্ত গ্রাম চিলাহাটির শাহারমোড় গ্রামে। 

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ওই লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ডোমার থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ জানায়, গৃহবধু তিথি আক্তার (৩০) এর বাড়ি সিরাজগঞ্জে ছিল। তিথির সাথে ডোমারের চিলাহাটি শাহারমোড় গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইসলামের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে ওই গৃহবধূর বাবা, মা বা কোন স্বজন বলতে এখন  কেউ নেই। গ্রামবাসীর অভিযোগ ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ফারজানা বেগমের আচরনগত কারণে গ্রামের কোন মানুষজনের সাথে সর্ম্পক ভাল না।

আরও জানা যায়, ওই মহিলার নির্যাতন প্রতিদিন সহ্য করতে হতো তিথিকে। এর আগে ফারুকের প্রথম স্ত্রী ছিল। সেও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যায়।

সূত্র মতে, তরকারিতে লবণ বেশী হওয়ার অপরাধে শুক্রবার  (২৩ মে) দুপুরে শাশুড়ি তার পুত্রবধূ তিথিকে লাঠি দিয়ে পেটায়। ওই দিন সন্ধ্যায় স্বামী বাড়ি এলে সেও তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়ে চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে। এতে রক্তক্ষরণে তিথি মারা যায়। ঘটনটি ধাপাচাপা দিতে ও লাশ গুম করার জন্য লাশ বাড়ির ভেতরে দুইদিন ফেলে রাখা হয়।

রবিবার (২৫ মে) রাতে একটি চার্জার ভ্যানে লাশ তুলে অজ্ঞাত স্থানে দাফনের চেষ্টা চালায় স্বামী শাশুড়ি। তবে গোপনে খবর পেয়ে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ খোরশেদুল আলম পুলিশ ফোর্স নিয়ে লাশ আটক ও স্বামী ফারুককে গ্রেফতার করে। এর ফাঁকে নাতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় তিথির শ্বশুড় শাশুড়ি।

এ সময় ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ডোমার থানার ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত স্বামী আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। নিহত গৃহবধূর কোন স্বজনকে পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়।

পাশাপাশি আজ সোমবার (২৬ মে) জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফন করা হয়েছে। আসামী স্ত্রী হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।