ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেছেন, যার অতীত ভালো, তার বর্তমান ভালো, ভবিষ্যতেও তার কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায়। কিন্তু যাদের ইতিহাস চুরি, চাঁদাবাজি ও খুনে ভরা, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
রবিবার (২৫ মে) বিকেলে ডোমার বাটার মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডোমার উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চুরি করিনি, কিন্তু যাদের বারবার ক্ষমতায় বসিয়েছি তারাই চুরি করেছে। আজ বিদেশে বাঙালি পরিচয় দিতে সংকোচ হয়, কারণ সবাইভাবে আমরা চোর। অথচ প্রকৃতপক্ষে আমরা নয়, বরং আমাদের নির্বাচিত নেতারাই চোর। তারা দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে। তাই চোর-বাটপারদের আর ক্ষমতায় আনা যাবে না।
দেশীয় সম্পদের অপব্যবহারের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে উৎপাদিত পাথর বিশ্বের সেরা মানের। অথচ ভারতের পাথর আমদানির সুবিধার্থে দেশের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ রক্ষার নামে। এর ফলে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, দেশের রিজার্ভ খালি হয়েছে। ব্যাংক ডাকাতি করে ২৮ লাখ ৬০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এই টাকায় ২০০টিরও বেশি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত।
সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে মুফতি আবুল খায়ের বলেন, চরমোনাই পীর সাহেব সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তি নয়, দলভিত্তিক ভোট হবে। শতকরা ১ ভাগ ভোট পেলে একটি দল সংসদে তিনজন প্রতিনিধির সুযোগ পাবে। এতে হিন্দুসহ সব জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি সংসদে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব। এতে বিদেশি শক্তির মদদে কিছু নেতাকে ব্যবহার করে দেশ পরিচালনার সুযোগ বন্ধ হবে। ডাকাত প্রকৃতির জনপ্রতিনিধি তৈরির পথও চিরতরে রুদ্ধ হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডোমার উপজেলা সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের রংপুর বিভাগীয় সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম আকন্দ, সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পিয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা সভাপতি ইয়াছিন আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আনিছুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাইমুন ইসলাম (মিঠুন), ইসলামী যুব আন্দোলনের নীলফামারী জেলা সভাপতি মাওলানা মামুন হাসান এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা সভাপতি জাকারিয়া হোসাইন প্রমুখ। সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।