০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ব্যবসা এবং রাজনীতি প্যারালাল চলে’ নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন

নীলসাগর গ্রুপের নতুন পণ্য, নতুন রূপে বাজারজাত করণে শুভ সূচনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কনজ্যুমার প্রোডাক্টের অধীনে এসব পণ্য ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষে দোরগরায় পৌঁছানো কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও নীলসাগর গ্রæপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন।

উদ্বোধনী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,‘অনেকেরে অনেক অর্থ থাকে কিন্তু এভাবে নিজ এলাকায় এসে ইনভেস্ট করেন না। উনি (নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান) তার উদ্ধে এসে নিজ এলাকায় বিনিয়োগ করার সাহস দেখিয়েছেন। নীলফামারী অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকা। আপনারা সৌভাগ্যবান যে উনি এই জেলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। উনি এই জেলাকে ভালোবাসেন, এই জেলার অধিবাসীকে ভালোবাসেন এবং এই জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। আমি যতটুকু জেনেছি ওনার চিন্তা চেতনা ভালো। ওনাদেরে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাতে মানসন্মত প্রোডাক্ট আসবে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানও হবে’।

জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য ওই আয়োজনে নীলসাগর গ্রপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ বেলায়য়েত হোসেন, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মো. আব্দুল বাকী, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোমিনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

সাবে সচিব ও বাংলাদেশ চায়না পওয়ার কম্পনী লিমিডেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাকী বলেন, ‘নীলসাগর গ্রুপের চেয়্যারম্যান অনেকগুলো কম্পনী করেছেন। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নীলফামারী একটি প্রান্তিক জেলা, বৃহত্তর রংপুরের একটি অবহেলিত অঞ্চল ছিল এক সময়ে। আজকে ওনার মত মানুষ এখানে বিনিয়োগ করেছেন, উনি ইচ্ছা করলে ঢাকা শহরের ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারতেন। আরো নিশ্চিন্তে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু উনি যে মাটি থেকে উঠে এসেছেন ঢাকা শহরে গেলেও সে মাটিকে ভুলে যাননি। আমি বিশ্বাস করি এভাবে যদি প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে লেলিনের মতো লোক এগিয়ে আসেন তাহলে এ দেশ বদলে যাবে খুব দ্রুত’।

সমাপনী বক্তৃতায় নীলসারগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন বলেন,‘আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা শিখেছি। এখন আমার দেওয়ার সময়, যদি আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেন। নীলফামারীর জন্য সামনে যে সমস্ত অভিভাবক আসবেন আমরা চাইবো আপনাদের মাধ্যমে সেই অভিবাবকদেরকে এই ম্যাসেগুলো তাদের মাঝে দিতে। আমাদেরকে শত্রুর কাতারে ফেলিয়েন না। আপনা আপনাদের শত্রæ না। ব্যবসা এবং রাজনীতি প্যারালাল চলে। আমাদেরকেও তাদের যেমন প্রয়োজন আছে, তাদেরকেও আমাদের প্রয়োজন আছে। আসুন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ আমরা হাতে হাত ধরে সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে নীলফামারীকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। দল-মত নির্বিশেষে যে নতুন বাংলাদেশ আমাদের সন্তানরা তাদের রক্ত দিয়ে আমাদেরকে দিয়েছে সেই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে দিয়েন না। এটা শেষ সুযোগ, আর এই সুযোগ পঞ্জাশ একশ বছরে আমরা দেখে যেতে পারবো না। এই সুযোগকে যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি নিজের বিবেকের কাছে আমরা হেরে যাবো। আমরা হেরে যাবো আমাদের সন্তানদের কাছে। দয়া করে ভালোর সাথে থাকুন, আলোর সাথে থাকুন, পরিবর্তনের সাথে থাকুন। আসুন বদলে দেই, বদলে যাই, কাজ করি, দেশ গড়ি’।

তিনি উপস্থিত সকলের উেেদ্দশ্যে বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলো (নীলসাগর গ্রুপ) মালিক আহসান হাবীব লেলিন নয়, এগুলো আপনাদের টাকার প্রজেক্ট, এগুলো আপনাদের টাকা। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আগামী এক বছরে আরো এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করবো’।

ওই অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। বিশাল স্টেজ এবং প্যান্ডেলের পাশেই স্থাপন করা হয়েছিল নতুন পণ্যের প্রদর্শনী স্টল। সেখানে আগতরা এসব স্টল থেকে কিনেছেনে নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টের নব রূপে সতুন সাজে উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর এলকার প্রিয় মানুষ নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিনকে কাছে পেয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এই ইনডাস্টিজসহ বিভিন সংগঠন ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টের ডোর টু ডোর প্রকল্পের ইনচার্জ আওরঙ্গজেব সুজন বলেন,‘নতুন পণ্য, নতুন রূপে বাজারজাত করণে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিভিন্ন নিত্য পণ্য উৎপাদন করে ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে সামান্য লাভে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে করে অর্থ সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের। পাশপাশি এ কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার দুই শতাধিক শিক্ষিত বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে’।

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়তে পারে তাপমাত্রাও

‘ব্যবসা এবং রাজনীতি প্যারালাল চলে’ নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন

প্রকাশিত ০১:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নীলসাগর গ্রুপের নতুন পণ্য, নতুন রূপে বাজারজাত করণে শুভ সূচনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কনজ্যুমার প্রোডাক্টের অধীনে এসব পণ্য ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষে দোরগরায় পৌঁছানো কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও নীলসাগর গ্রæপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন।

উদ্বোধনী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,‘অনেকেরে অনেক অর্থ থাকে কিন্তু এভাবে নিজ এলাকায় এসে ইনভেস্ট করেন না। উনি (নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান) তার উদ্ধে এসে নিজ এলাকায় বিনিয়োগ করার সাহস দেখিয়েছেন। নীলফামারী অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকা। আপনারা সৌভাগ্যবান যে উনি এই জেলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। উনি এই জেলাকে ভালোবাসেন, এই জেলার অধিবাসীকে ভালোবাসেন এবং এই জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। আমি যতটুকু জেনেছি ওনার চিন্তা চেতনা ভালো। ওনাদেরে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাতে মানসন্মত প্রোডাক্ট আসবে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানও হবে’।

জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য ওই আয়োজনে নীলসাগর গ্রপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ বেলায়য়েত হোসেন, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মো. আব্দুল বাকী, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোমিনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

সাবে সচিব ও বাংলাদেশ চায়না পওয়ার কম্পনী লিমিডেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাকী বলেন, ‘নীলসাগর গ্রুপের চেয়্যারম্যান অনেকগুলো কম্পনী করেছেন। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নীলফামারী একটি প্রান্তিক জেলা, বৃহত্তর রংপুরের একটি অবহেলিত অঞ্চল ছিল এক সময়ে। আজকে ওনার মত মানুষ এখানে বিনিয়োগ করেছেন, উনি ইচ্ছা করলে ঢাকা শহরের ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারতেন। আরো নিশ্চিন্তে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু উনি যে মাটি থেকে উঠে এসেছেন ঢাকা শহরে গেলেও সে মাটিকে ভুলে যাননি। আমি বিশ্বাস করি এভাবে যদি প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে লেলিনের মতো লোক এগিয়ে আসেন তাহলে এ দেশ বদলে যাবে খুব দ্রুত’।

সমাপনী বক্তৃতায় নীলসারগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন বলেন,‘আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা শিখেছি। এখন আমার দেওয়ার সময়, যদি আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেন। নীলফামারীর জন্য সামনে যে সমস্ত অভিভাবক আসবেন আমরা চাইবো আপনাদের মাধ্যমে সেই অভিবাবকদেরকে এই ম্যাসেগুলো তাদের মাঝে দিতে। আমাদেরকে শত্রুর কাতারে ফেলিয়েন না। আপনা আপনাদের শত্রæ না। ব্যবসা এবং রাজনীতি প্যারালাল চলে। আমাদেরকেও তাদের যেমন প্রয়োজন আছে, তাদেরকেও আমাদের প্রয়োজন আছে। আসুন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ আমরা হাতে হাত ধরে সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে নীলফামারীকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। দল-মত নির্বিশেষে যে নতুন বাংলাদেশ আমাদের সন্তানরা তাদের রক্ত দিয়ে আমাদেরকে দিয়েছে সেই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে দিয়েন না। এটা শেষ সুযোগ, আর এই সুযোগ পঞ্জাশ একশ বছরে আমরা দেখে যেতে পারবো না। এই সুযোগকে যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি নিজের বিবেকের কাছে আমরা হেরে যাবো। আমরা হেরে যাবো আমাদের সন্তানদের কাছে। দয়া করে ভালোর সাথে থাকুন, আলোর সাথে থাকুন, পরিবর্তনের সাথে থাকুন। আসুন বদলে দেই, বদলে যাই, কাজ করি, দেশ গড়ি’।

তিনি উপস্থিত সকলের উেেদ্দশ্যে বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলো (নীলসাগর গ্রুপ) মালিক আহসান হাবীব লেলিন নয়, এগুলো আপনাদের টাকার প্রজেক্ট, এগুলো আপনাদের টাকা। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আগামী এক বছরে আরো এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করবো’।

ওই অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। বিশাল স্টেজ এবং প্যান্ডেলের পাশেই স্থাপন করা হয়েছিল নতুন পণ্যের প্রদর্শনী স্টল। সেখানে আগতরা এসব স্টল থেকে কিনেছেনে নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টের নব রূপে সতুন সাজে উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর এলকার প্রিয় মানুষ নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিনকে কাছে পেয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এই ইনডাস্টিজসহ বিভিন সংগঠন ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টের ডোর টু ডোর প্রকল্পের ইনচার্জ আওরঙ্গজেব সুজন বলেন,‘নতুন পণ্য, নতুন রূপে বাজারজাত করণে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিভিন্ন নিত্য পণ্য উৎপাদন করে ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে সামান্য লাভে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে করে অর্থ সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের। পাশপাশি এ কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার দুই শতাধিক শিক্ষিত বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে’।