১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
টিসিবির তথ্য

এক মাসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৩ শতাংশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভালো মুনাফার আশায় অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে তেমন আগ্রহী নন। কারণ বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোয় বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাজধানীতে পেঁয়াজের খুচরা দাম ৪০ থেকে ৬৫ টাকা। আগের মাসের তুলনায় দাম সাড়ে ২৩ শতাংশ বেশি। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

ঢাকার খুচরা বিক্রেতা ও পাইকাররা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগেও খেত থেকে সরাসরি 
পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন আর খেতে কোনো পেঁয়াজ নেই। কৃষকরা পেঁয়াজ তুলে মজুত করে রেখেছেন। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদন খরচ তুলতে অনেক কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। তাই হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে গিয়ে দাম কমেছিল। এখন তারা ভালো মানের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন। বাড়তি দামের আশায় বাকি পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রেও তারা সময় নিচ্ছেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত মার্চ মাস থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। দেশে পেঁয়াজের চারা সাধারণত ডিসেম্বর রোপণ করা হয়। মার্চ-এপ্রিলের দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। চলতি বছরের শুরুতেই উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা আক্ষেপ করেছিলেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে চলতি মৌসুমে মোট উৎপাদন হবে ৩৯ লাখ টনের বেশি। দেশের চাহিদা মেটাতে তা যথেষ্ট হলেও পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আরো ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানির প্রয়োজন। 

কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তাদেরকে কৃষক বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা পাবনায় সম্প্রতি প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৬৫ কেজি) পেঁয়াজের পাইকারি দাম ২ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। এক মাস আগে তা ছিল ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা।

নীলফামারীতে আগুন টিমের সদস্য গ্রেফতার

টিসিবির তথ্য

এক মাসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৩ শতাংশ

প্রকাশিত ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভালো মুনাফার আশায় অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে তেমন আগ্রহী নন। কারণ বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোয় বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাজধানীতে পেঁয়াজের খুচরা দাম ৪০ থেকে ৬৫ টাকা। আগের মাসের তুলনায় দাম সাড়ে ২৩ শতাংশ বেশি। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

ঢাকার খুচরা বিক্রেতা ও পাইকাররা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগেও খেত থেকে সরাসরি 
পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন আর খেতে কোনো পেঁয়াজ নেই। কৃষকরা পেঁয়াজ তুলে মজুত করে রেখেছেন। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদন খরচ তুলতে অনেক কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। তাই হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে গিয়ে দাম কমেছিল। এখন তারা ভালো মানের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন। বাড়তি দামের আশায় বাকি পেঁয়াজ বিক্রির ক্ষেত্রেও তারা সময় নিচ্ছেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার গত মার্চ মাস থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। দেশে পেঁয়াজের চারা সাধারণত ডিসেম্বর রোপণ করা হয়। মার্চ-এপ্রিলের দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। চলতি বছরের শুরুতেই উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা আক্ষেপ করেছিলেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে চলতি মৌসুমে মোট উৎপাদন হবে ৩৯ লাখ টনের বেশি। দেশের চাহিদা মেটাতে তা যথেষ্ট হলেও পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আরো ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানির প্রয়োজন। 

কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তাদেরকে কৃষক বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা পাবনায় সম্প্রতি প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৬৫ কেজি) পেঁয়াজের পাইকারি দাম ২ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। এক মাস আগে তা ছিল ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা।