০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন

নির্বাচন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয়না

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন বলেছেন, বিএনপি আগে ভোট চায় না, আগে ইলেকশন চায়। ইলেকশন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয় না। যে দলের জবাবদিহিতা এবং গ্রহনযোগ্যতা থাকে, তাকে ভোটের মাধ্যমে জনগন তাদের সরকারে নিয়ে আসতে পারে। বিএনপি চাচ্ছে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। যাকে খুশি, জনগন তাকে ভোট দিবে। বয়স পূর্ণ হলেও আগামী প্রজন্ম দীর্ঘদিন ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ বিনিমার্ণ করতে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন দিয়ে জনবান্ধব সরকার কায়েম করুন।

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যকালে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন এসব কথা বলেন। তিনি  অন্তবতর্ী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সংস্কার করতে চান, সেটার প্রতি আমাদের সম্মান ও ভালবাসা আছে। কিন্তু এই সময়টাকে ধরে রাখার যে বিশ্বাস, তা আপদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে। আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেখান থেকে কিছু নিয়ে থাকলে নিন এবং সংস্কার করুণ এবং ইলেকশনের রোডম্যাপ দেন।

বেবী নাজনীন আরো বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকব। যত বাঁধা আসুক, আমাদেরকে ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। একটি নতুন দেশ গড়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফার সংস্করণ কর্মসূচি দিয়েছে। এর মধ্যেই সব ধরণের রাষ্ট্র সংস্কার খুঁজে পাবেন। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া জেল- জুলুম উপেক্ষা করে দেশে থেকেছেন। তিনি দেশ থেকে পালাননি। বিএনপির কোন নেতা-কর্মীও পালায়নি। আমাদের তো পালাবার যায়গা নেই। পালাতে গেলে বঙ্গপোসাগরে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের তো আর সাধ্য নেই যে, ইন্ডিয়া কিংবা বিদেশের বাড়ীতে থাকব। সেজন্যই বুকে পাথর বেঁধে সব কিছুই উপেক্ষা করে ধান খেতে কিংবা জঙ্গলে কাটাতে হয়েছে নেতা-কর্মীদের দজ্জাল শেখ হাসিনার সরকার, আমার নেতা তারেক রহমান সহ অনেক পরীক্ষিত নেতা কমর্ীদের জোর করে নিবার্সনে পাঠিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদেরই দেশ থেকে পালাতে হলো।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম,এ, লিটন পারভেজ, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লাল ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শিপু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবিব ময়না।

পরে বেবী নাজনীনের নেতৃত্বে একটি বণার্ঢ্য র‍্যালী উপজেলার প্রানকেন্দ্রের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এসময় পথচারীরা মূহুমর্ূহু করতালী দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে।

নীলফামারীতে আগুন টিমের সদস্য গ্রেফতার

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন

নির্বাচন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয়না

প্রকাশিত ১১:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন বলেছেন, বিএনপি আগে ভোট চায় না, আগে ইলেকশন চায়। ইলেকশন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয় না। যে দলের জবাবদিহিতা এবং গ্রহনযোগ্যতা থাকে, তাকে ভোটের মাধ্যমে জনগন তাদের সরকারে নিয়ে আসতে পারে। বিএনপি চাচ্ছে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। যাকে খুশি, জনগন তাকে ভোট দিবে। বয়স পূর্ণ হলেও আগামী প্রজন্ম দীর্ঘদিন ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ বিনিমার্ণ করতে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন দিয়ে জনবান্ধব সরকার কায়েম করুন।

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যকালে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন এসব কথা বলেন। তিনি  অন্তবতর্ী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সংস্কার করতে চান, সেটার প্রতি আমাদের সম্মান ও ভালবাসা আছে। কিন্তু এই সময়টাকে ধরে রাখার যে বিশ্বাস, তা আপদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে। আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেখান থেকে কিছু নিয়ে থাকলে নিন এবং সংস্কার করুণ এবং ইলেকশনের রোডম্যাপ দেন।

বেবী নাজনীন আরো বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকব। যত বাঁধা আসুক, আমাদেরকে ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। একটি নতুন দেশ গড়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফার সংস্করণ কর্মসূচি দিয়েছে। এর মধ্যেই সব ধরণের রাষ্ট্র সংস্কার খুঁজে পাবেন। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া জেল- জুলুম উপেক্ষা করে দেশে থেকেছেন। তিনি দেশ থেকে পালাননি। বিএনপির কোন নেতা-কর্মীও পালায়নি। আমাদের তো পালাবার যায়গা নেই। পালাতে গেলে বঙ্গপোসাগরে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের তো আর সাধ্য নেই যে, ইন্ডিয়া কিংবা বিদেশের বাড়ীতে থাকব। সেজন্যই বুকে পাথর বেঁধে সব কিছুই উপেক্ষা করে ধান খেতে কিংবা জঙ্গলে কাটাতে হয়েছে নেতা-কর্মীদের দজ্জাল শেখ হাসিনার সরকার, আমার নেতা তারেক রহমান সহ অনেক পরীক্ষিত নেতা কমর্ীদের জোর করে নিবার্সনে পাঠিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদেরই দেশ থেকে পালাতে হলো।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম,এ, লিটন পারভেজ, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লাল ও সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শিপু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবিব ময়না।

পরে বেবী নাজনীনের নেতৃত্বে একটি বণার্ঢ্য র‍্যালী উপজেলার প্রানকেন্দ্রের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এসময় পথচারীরা মূহুমর্ূহু করতালী দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে।