স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী 
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশের পর নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী ও ডিমলায় ৩ জনসহ এক রাতেই মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে শুক্রবার (৯ মে) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ঠ থানা পুলিশ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ মে) উত্তরাঞ্চলের সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সফর শেষে রাতে বিমানে ঢাকা ফেরার পথে সৈয়দপুর বিমান বন্দরের প্রবেশের পূর্ব মূহুর্তে উপদেষ্টার গাড়ি থামিয়ে দেয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেন বিভিন্ন মামলার আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছেন না কেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাৎক্ষনিক নির্দেশনা দেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে নয়তো কোনো পুলিশ এখানে থাকতে পারবেনা। এমন নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সৈয়দপুর উপজেলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ(৪৮), প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮), সৈয়দপুর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মাহবুব আলম (৩৮), সৈয়দপুর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সদস্য মো. আলতাফ হোসেন (৫৪) আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. রশিদুল হক (৪৮) মো. সাজিদুর ইসলাম ওরফে সাজু মোল্লা (৩৩) ও মো. জুলফিকার আলী (৪৬) । এর মধ্যে ফয়েজ আহমেদকে শহরের পাঁচমাথা মোড় ও বাকিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ফয়েজ আহমেদকে বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় ও বাকিদের সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, বিএনপির সৈয়দপুরের রাজনৈতিক জেলা শাখার কার্যালয় ভাঙচুরসহ বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অপর দিকে ডিমলা উপজেলার গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলো টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী (৪৮), ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মশিউর রহমান (৩৫) ও যুবলীগের খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল ওহাব (৩২)। ডিমলা থানার ওসি ফজলে এলাহী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
