সাত বছর পূর্বে হাসপাতালে ৬ তলা ভবনের নির্মান কাজ শেষ হলেও আজ পর্যন্ত চালু হয়নি নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।
প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে ভুগছেন রোগী সহ রোগীর স্বজনেরা। দীর্ঘদিন থেকে নতুন ভবন চালু না হওয়ায় রোগীদের স্থান হয় মেঝেতে ও বারান্দায়। ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় রোগীর স্বজনেরা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা গণপূর্ত বিভাগ অফিস জানান, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সম্পুর্ন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে গত ০৯/০৪/২০১৯ তারিখে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ২৫০ শয্যা ভবনের পাশেই রয়েছে, পুরাতন হাসপাতাল। সেখানেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। কিন্তু সেখানে নেই রোগীর প্রয়োজনীয় বেড, নেই পরিবেশ সম্মত টয়লেট,নেই পরিবেশ সম্মত বসার স্থান। রোগী ভর্তি হলেই মেঝেতে শোয়াতে হয়, অনেকের জায়গা হয় বারান্দায়।
সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রোগীর স্বজন, মিলন মিয়া বলেন,এই হাসপাতালে জায়গার অভাবে রোগীরা সবসময় ভোগান্তিতে চিকিৎসা নেন। রোগী ভর্তি হলেই বেড পাওয়া যায় না। মেঝেতে শোয়াতে হয়, অনেক রোগীকে বারান্দায় মেঝেতে দেখা যায়। রোগী নিয়ে আসলেই দু:শ্চিন্তায় পরতে হয় রোগীর বেড নিয়ে। বর্তমানে হাসপাতালে পরিবেশ নাই বললেই চলে। প্রতিদিন রোগীর যে চাপ ওই অনুপাতে জরুরী ২৫০ শয্যা নতুন ভবন উদ্ভোদনের জরুরী দরকার।

কুন্দপুকুর ইউনিয়নের রোগীর স্বজন রাজু ইসলাম বলেন,আমরা ৭ বছর থেকে দেখতেছি ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু কি অজানা কারনে ভবনটি চালু হচ্ছে না,তা আমরা জানিনা। তবে এ জেলার ভালো মানের চিকিৎসা ও ভালো পরিবেশের জন্য জরুরী ভবনটি চালু করার প্রয়োজন। বর্তমানে যে ভবনগুলোয় চিকিৎসা হচ্ছে, সেখানে নেই কোন পর্যাপ্ত জায়গা, নেই কোন পরিবেশ। রোগী ভর্তি হলেই শোয়াতে হয় মেঝেতে ও বারান্দায়। রোগী ভালো হবে কিভাবে, যদি রোগীর চিকিৎসার জায়গা ও পরিবেশ ভালো না থাকে।
এ বিষয়ে জেলা গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো:সাকিউজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,২০১৯ সালেই ২৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো চালু কেনো হচ্ছে না ,এটা আমার যানা নেই। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে বিল্ডিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবু বিন হাজ্জাজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ফার্নিচার ও লিফট নেই এজন্য চালু হচ্ছে না। তবে ফার্নিচার এখন চলে আসছে। আর দুইটি লিফট এর মধ্যে একটি চালু আছে,আরেকটি চালু নেই। তবে আংশিক কার্যক্রম চলতেছে। কতদিনের মধ্যে চালু হবে এটা বলা মুশকিল।