আকিব শিকদার
এই দেশে গণভোটে রটে যায় বেশ্যারাও সতী, বাধানো দাঁতের
হাসি নিয়ে অভিনেত্রীরা পায় সুচিস্মিতার সুনাম।
জনগণের সেলাম কুড়ায় শুয়োরমুখো নেতা। জীবন্ত যুবতীর বুকে
শকুন হয়ে ঠুকর কাটে বখাটে যুবক।
আজব এ দেশে ঘোলা জলে
মাছ শিকারে ব্যস্ত রাজনীতিবিদেরা, বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয় তাই গ্রেনেড। পুরোহিত ধরা পড়ে
ধর্ষণের দায়ে, মোল্লারা মাদ্রাসায় ছাত্রের সাথে
জড়িয়ে পড়ে সমকামিতায়।
এই দেশে কুকুরেরা ঘুরে মানুষের ছদ্মবেশে। প্রতিরক্ষক
কালো বিড়ালের ঘরে ইঁদুর দেয় হানা।
পলাতক ভীতু পুটি মাছকে নিঃশব্দে
অনুসরণ করে ঢোড়া সাপ। দগদগে ঘাঁয়ের সন্ধানে
উড়ে লোভাতুর মাছি।
আজব এই দেশে মানুষ বড়ো ফুটানিবাজ; ভাত পায় না খেতে,
মোটরসাইকেল নিয়ে হাগতে যায়। আছে হিংসা রোগ,
হাত্তির লেদা দেখে চামচিকার কুতানি রোগ।
এই দেশে জনগণ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের মতো
ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিন গুনে।
চাটুকারের হুজুর হুজুর করা দেখে
বিপ্লবীদের পিত্তি জ্বলে। পালক ভাঙার প্রতিবাদে
আকাশ কাঁপিয়ে কাঁদে কালো কাক।
আজব এ দেশে জনগণ জানে না
মুষ্টিবদ্ধ হাত ওয়ালা মিছিলের গর্জন
বজ্রপাতের চেয়ে ভয়ংকর। বিপ্লবীদের হাতের হাতকরা
হীরে বসানো প্লাটিনামের বালার মতো ঝকমকিয়ে হাসে।
আর সাহস করে সামনে দাঁড়ালে
শত্রু পালিয়ে যায় পথ রোধকারী শিয়ালের মতো।
এই দেশে কবে টিকটিকির ডিমের ভেতর থেকে
বেরিয়ে আসবে কেশর ফলানো সিংহ? জনগণ জাগবে।
দূঃশ্বাসনের মুখে ছড়িয়ে দেবে ছাই। স্বৈরাচারী শাসকের
ব্যঙ্গচিত্র এঁকে
থুতু ছেটাবে সাহসী চিত্রকর। যেমন মৃত ডাকাতের মুখে
ঝাটা মারে পল্লী গ্রামের গেরস্থের বউ।