নীলফামারীর ছয় থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় ডিউটি অফিসাররা সাধারণ ডাইয়েরী (জিডি) হারানো জিডি, মামলা গ্রহনসহ থানা গুলোতে পুলিশের অবস্থানে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রবিবার (১১ আগষ্ট) বিকালে জেলার ডোমার থানার সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে জেলার ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদর থানার সকল আইনি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সেনা সদস্য আবু হানিফ, ডোমার থানার ওসি মহসিন আলী, এসআই আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অপরদিকে, জেলায় যানজট নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। সদর ট্রাফিক ইনচার্জ জ্যোর্তিময় রায় জানান, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থানায় পিকেটিং, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে আজ রবিবার থেকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হলো।
ডোমার থানার ওসি মহসিন আলী বলেন, ‘ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সবাইকে দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে জনগনের কল্যাণ আশা করা যায় না।’
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে পুলিশ সুপার বলেন, ‘সবাই আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক, সবার অধিকার সমান। গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি তৈরী না করার অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, একটি কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়ে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িক বিঘিœত হয়েছিল। আজ সেসব পিছনে ফেলে এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বন্ধু হয়ে পাশে থেকে কাজ করবেন।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর গত ৫ জুলাই শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর সরকারী বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর, পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে একাকার করে। ফলে নীলফামারীর ছয় থানায় সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল।
নীলফামারীতে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা
বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষে নীলফামারীতে বনার্ঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার(২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলা ইপিআই চত্বর থেকে শুরু করে র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।…