নীলফামারী জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ।
আর এ পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ইতোমধ্যেই স্বাবলম্বী হয়েছেন নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুঠি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আইজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলি বেগম । এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে এ দম্পতির শ্রম ও সময় কম লেগেছে। খরচও কম।
কৃষক আইজুল ইসলাম জানান- সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষিখাতের আওতায় পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং সেলফহেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সার্বিক সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় প্রচণ্ড আশাবাদী এই কৃষক। শিগগিরই আরও বড় জায়গা নিয়ে বড় পরিসরে তিনি এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ বাড়াতে চান! ফলন ভালো হয়েছে পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পেয়ে প্রচণ্ড খুশি কৃষক আইজুল ইসলাম।
সেলফহেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর নির্বাহী প্রধান আলহাজ্ব মোঃ মাহবুব উল আলম বলেন- মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রোগজীবাণু থেকেও গাছকে রক্ষা করে। অতিরিক্ত পানি রোধ করে। গাছের গোড়ায় আগাছা হয় না। এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে হলে প্রথমে জমি তৈরি করে মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো সার মিশিয়ে নিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। বেডের প্রস্থ হবে এক মিটার। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব হবে ৩০ সেন্টিমিটার। এরপর জমিতে তৈরি করা সবকটি বেড মালচিং পলিথিন দিয়ে ডেকে দিতে হবে। পলিথিনের নিচে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে তাই বেডের চারপাশে পলিথিনের উপরে ভালোভাবে মাটিচাপা দিতে হবে। বেডে চারা রোপণের জন্য ১৮ ইঞ্চি দূরত্ব রাখতে হবে। চার ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে ছিদ্র করে ওই ছিদ্রে টমেটোর চারা রোপণ করতে হবে।
সেলফ-হেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ জানান- টমেটো চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষে শ্রম ও সময় কম লাগে। খরচও কম হয়। টমেটো শীতকালীন ফসল হলেও গ্রীষ্মকালীন টমেটো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা এবার মালচিং পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে।