দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্বের জন্য করা তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক বিশৃংখলা ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২৯ মে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্বের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় চিরিরবন্দর মহিলা কলেজের আয়াকে পোলিং অফিসার, দপ্তরীকে পোলিং অফিসার, ছোট হাশিমপুর আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে অফিসার, আয়াকে পোলিং অফিসার, দপ্তরীকে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ছোট হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বতাকারী প্রার্থী খোচনা এস সি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক মুকুলকে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। চাকুরী জীবনে কোনদিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেননি এমন কয়েকজনকে দলীয় বিবেচনায় প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ২০ বছর পূর্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুনট্টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। অথচ যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের তালিকাভূক্ত করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার এ এস এম সাইফুর রহমান বলেন, নৈশপ্রহরী, আয়া ও দপ্তরীদের বাদ দেয়া হয়েছে। তারা তথ্য গোপন করে অফিস সহকারি ও কম্পিউটার অপারেটর লিখেছিল। একজন প্রার্থীকে ভূলবশত সহকারি প্রিজাইডিং করা হয়েছিল। তাঁকেসহ ওই প্রতিষ্ঠানের সকলকে বাদ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষে কিছু অদল-বদল করা হবে।