নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ভূমি অফিসের সব কর্মকর্তারা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) বৌভাতে যাওয়ায় দিনভর সেবা ব্যাহত হয়েছে। ছুটি না নিয়েই মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে অফিস অকার্যকর করে ব্যক্তিগত বিনোদন উপভোগ করেছেন কর্মকর্তারা। ঘটনটি ঘটেছে ২২ এপ্রিল।
সুদূর বগুড়ায় বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালেই একযোগে সব কর্মকর্তা চলে যাওয়ায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায় উপজেলা ভূমি অফিসসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ভূমি অফিসও। ফলে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে এসে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে উপজেলাবাসীকে।
দুপুর ১২টায় ও বিকেল ৪টায় সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ঝাড়ুদার ব্যতীত আর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত নেই। সবগুলো কক্ষ তালাবদ্ধ তবে একটি রুমের জানালা খোলা। সেই রুমে ও গোলঘরে বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে তো ঘুরছেই।
সরেজমিনে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে গেলে দেখা যায়, সীমানা প্রাচীরের সাথের মূল গেট খোলা কিন্তু ভবনের গেটে তালা দেওয়া। ভেতরে একটি রুমের দরজা খোলা। অফিসে কেউ উপস্থিত নেই।
গেটের পাশের দেয়ালে সাদা কাগজে লিখে বাঙালীপুর ইউনিয়নের তহশিলদার আশিকুর রহমান বলেন, আমরা সব ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসি-ল্যান্ড স্যারের বৌভাতে যোগ দিতে বগুড়ার পথে।
অফিসিয়ালি ছুটি না নিলেও ইউএনও স্যারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে দাওয়াতের কারণে এসি-ল্যান্ড আমিনুল ইসলাম ও ইউএনও নুর-ই আলম সিদ্দিকীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তারা ফোনকল রিসিভ না করায় তাদের মতামতও জানা যায়নি।
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোধা রানি রায় ফোনকলে বলেন, ইউএনও যদি ছুটি দিয়ে থাকেন তাহলে সে বিষয়ে তিনিই ভালো জানেন। আর যদি কোনো ভুক্তভোগীর অভিযোগ থাকে তাহলে লিখিত আবেদন করলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দপুরে কুয়াশায় পলিথিন দিয়ে বোরো বীজতলা রক্ষার চেষ্টা কৃষকের
নীলফামারী সৈয়দপুরে কয়েক দিন ধওে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশা আর শৈত প্রবাহ চলছে। এতে করে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বীজতলা রক্ষায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের চাষীরা। তাই তারা পলেথিন…