নীলফামারী কিশোরগঞ্জে ঘোড়ার ঘানিতে পরিবারের হাল ধরেছেন ফজলে মামুদ নামে এক বৃদ্ধ। একসময় খাঁটি ভোজ্যতেল উৎপাদনে একমাত্র অবলম্বন ছিল ঘানি।ঘানি টানার কাজে ব্যবহার করা হত গরু। গরুর দাম বৃদ্ধির কারনে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘানি শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফজলে মামুদ(৭৫)নামের এক বৃদ্ধ স্বল্পমূল্যের ঘোড়াকে বেছে নিয়ে টিকে রেখেছেন বাপ-দাদার ঐতিহ্যের তেলিপেশা। তিনি উপজেলার বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি তাঁতি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়,ঘোড়ার কদর ও চাহিদা না থাকায় বাজার মূল্যে খুবেই কম। আর গরুর সমকক্ষে ঘোড়া দিয়ে নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যায়,এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি কয়েক বছর ধরে গরুর পরিবর্তে ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে তেল বিক্রি করে ৫ সদস্যর সংসার চালান।
সরেজমিনে ১৯শে মার্চ সকালে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,ঘানির ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে খাঁটি সরিষা তেলের সুগন্ধে আশপাশ ছরিয়ে গেছে। নরেবড়ে একটি ঘরে, কাতারের উপর বসে ভর দিচ্ছেন নিজে। এসময় ঘোড়ার ঘুরপাকে পাতিলে চুয়ে চুয়ে পড়ছে তেল। স্থানীয়দের মাঝে ঘানির তেলের অনেক চাহিদা।
ফজলে মামুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে আমি ৬০বছর ধরে ঘানিতে তেল মাড়াই ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আগে গরু দিয়ে সরিষা মাড়াই করতাম,কিন্তু ঘানি টানার জন্য বর্তমান বাজারে গরুর দাম প্রায় লক্ষাধীক টাকা। এতো টাকা না থাকায়,কয়েক বছর আগে ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঘোড়া ক্রয় করি।দৈনন্দিন এ ঘোড়া দিয়ে ১২কেজি সরিষা মাড়াই করে ৪ কেজি তেল ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি করি।যাবতীয় ব্যয় বাদে প্রতিদিন ৫০০টাকার মত আয় হয়,তা দিয়ে কোন রকমে ৫ সদস্যের সংসার চালাই।
স্থানীয় ব্যক্তি সামসুল ইসলাম বলেন,আমরা ফজলে মামুদের তেল বাড়ীতে সব কাজে ব্যবহার করি।এই তেলের স্বাদ ঘ্রাণ অতুলনীয়। ঘানির তেল বিক্রি করে তার অভাবের সংসার আজ ভালো চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,প্রযুক্তির যুগের মানুষ অধিক উৎপাদনশীল যন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে। এতে স্বল্প উৎপাদন যোগ্য ঘানি শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় ঘোড়ার ব্যবহারও হারিয়ে যাচ্ছে।তবে দামি গরুর পরিবর্তে ফজলে মামুদ কম দামের ঘোড়া দিয়ে খাঁটি সরিষার তেল উৎপাদন করে ভোক্তাদের মাঝে সরবরাহের পাশাপাশি গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আমরা সরেজমিনে গিয়ে তার ঘানিটি পরিদর্শন করবো।
১৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ, ভাগাভাগির তালিকা প্রকাশ্যে আসায় তোলপাড়
গর্ভনিং-বডির সভাপতিকে ম্যানেজ করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।…