নীলফামারীর সৈয়দপুরে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন। সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের দেওয়া তালা খুলে দেওয়ার জের ধরে এ বর্জনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কিছুদিন ধরে সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণে দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে গত সোমবার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সুধীজনদের সাথে আলোচনা করে অধ্যক্ষের তালা খুলে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, সৈয়দপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান একজন জামাত-শিবিরপন্থী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্থান হানাদারবাহিনী এ দেশের নিরীহ বাঙ্গালীর ওপরে হামলা করে গণহত্যা চালায়। আর গণহত্যা দিবসে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধক্ষের তালা ভেঙ্গে জামাত-শিবিরকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা মনে করি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও স্বাধীনতাবিরোধী ও জামাত-শিবিরপন্থী। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে তালা দেওয় সমীচীন নয়। আমি সবার সাথে কথা বলেছি।বিষয়টা বুঝেছে ছাত্রলীগ। ফলে তারা নিজেরাই অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যদি নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তা মাউসির কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কেউ বর্জন করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।