পবিত্র মাহে রমজান এর ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলার সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। ঘড়িতে সময় যখন ৫টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ মেঘ ঘনিয়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে পড়ে। কিছু সময়ের মধ্যে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ১০ মিনিট। বাতাস শেষ হতেই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি শেষে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির পর স্বাধীনতার বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীনতা অ¤¬ান স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।
প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম। এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নীলফামারী প্রেসক্লাব, টিআইবি-সনাক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সকাল আটটায় নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, পুলিশ, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে কুজকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুধিজন ও শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ, সকাল ১১টায় ডিসি গার্ডেনে জেলা শিশু একাডেমির আয়োজনে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি এবং পুরস্কার বিতরণ হয়। বিকাল ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা। বিকাল সাড়ে ৫টায় সার্কিট হাউজে বীরমুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, হাসপাতাল, জেলখানা ও সরকারি শিশু পরিবারসহ পথ শিশুদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।