নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত গমে পানি দিয়ে ওজন ও ঘাটতি চাল পূরণে বাজার থেকে কিনে গুদামে ঢুকানোর ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় সময় ক্ষেপণের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সংবাদকর্মীরা সংশ্লিষ্ট গুদাম পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে রাজি হয়নি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি)। ফলে ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত হলে তরিঘরি করে ৪নং গুদাম সীলগালা করা হয়। এর আগে সেখান থেকে ভেজা গম সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এসময় উপস্থিত খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুজ্জামান দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংসদ সদস্যকে জানানো হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ সত্য নয়, বরং লেবারদের সঙ্গে ঠিকাদারের কিছু বিষয়ে ঝামেলা চলছে। সেক্ষেত্রে সমাধানে উদ্যোগ নেয়ায় ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আর গুদাম পর্যবেক্ষণ করতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এমপির নির্দেশে অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করে দিবেন। এর আগে কোন পর্যবেক্ষণ বা কোন তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন। এসময় জেলা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর চাইলে ওসি এলএসডি অপারগতা প্রকাশ করেন।
এই ঘটনার পর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক শাহ গুদাম পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভালো করে দেখেছি ভেজা গম বা নতুন চাল দেখতে পাইনি।
তারপরও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আমাকেসহ ৩ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। আগামী ৩ কার্যদিবসে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। কিন্তু তিনি কমিটির অন্য দুই সদস্যের নাম পদবি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তদন্তে আসলেই দেখতে পাবেন।