নীলফামারী সদরের ৪৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১ হাজার ক্ষুদে কবির স্বরচিত লেখা ছড়া-কবিতা বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।
এরমধ্যে ১৪ হাজার কবিতা যাচাই বাচাই করে ২৫০ ছড়া-কবিতা দিয়ে ‘জাতির পিতা, আমাদের শ্রেষ্ঠ মিতা’ ও ১৭ হাজার ছড়া কবিতা থেকে ৪৫০টি ছড়া কবিতা নিয়ে ‘ভোর হলো দোর খোল’ নামের মোট ৭০০ ছড়া-কবিতা দিয়ে পৃথকভাবে দুইটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্তরে ওই ক্ষুদে কবিদের স্বরচিত লেখা কবিতা ও ছড়া দিয়ে দুইটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। সেখানে উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কথা সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
সুত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে বিশাল এই কাজটি করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিশন ২০২১। তবে এটি ২০৪১ সাল পর্যন্ত এসব ক্ষুদে কবিদের সাথে নিয়ে কাজ করবেন সংগঠনটি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমনটি আশা ব্যক্ত করেন।
ভিষন ২০২১ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান জানান, ‘জেলা সদরের ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে স্বরচিত ৩১ হাজার ছড়া-কবিতা। এরমধ্যে ১৪ হাজার ছড়া-কবিতা যাচাই বাচাই করে ২৫০টি ছড়া-কবিতা দিয়ে জাতির পিতার স্বরণে একটি বই ছাপানো হয়েছে। আরেকটি ১৭ হাজার ছড়া-কবিতা থেকে ৪৫০টি ছড়া-কবিতা দিয়ে নিয়মিত একটি বই ছাপানো হয়। বই দুইটির নাম হলো ‘জাতির পিতা, আমাদের শ্রেষ্ঠ মিতা’ আরেকটি ‘ভোর হলো, দোর খোল।’
তিনি বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ছড়া-কবিতা ৮৭ হাজার ৮০০ জমা পড়েছিল। এসব কবিতা ছড়া লেখায় অংশ নিয়েছে জেলা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীসহ ৪৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে যাচাই বাচাই করে ৩১ হাজার ছড়া-কবিতার নেয়া হয়। এরমধ্যে ৭০০ ছড়া কবিতা নিয়ে পৃথকভাবে দুইটি বই ছাপনো হয়েছে।
২০১৫ সালে আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশনায় কাজটি শুরু করেছিলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম আগামি দিনের সুন্দর হউক পথচলা। পাশাপাশি সমাজে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক তারা।’
বিকালে ক্ষুদে কবিদের লেখা বই ‘জাতির পিতা, ‘আমাদের শ্রেষ্ঠ মিতা ও ‘ভোর হলো দোর খোল’ বই দুইটি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন অতিথি বৃন্দ।
এদিকে, নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রহিমা আকতার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমার লেখা কবিতা বইয়ের পাতায় ছাপানো হবে বিশ্বাস করতে পারি নাই। আজ নিজের চোখে দেখতে পেয়ে ভিষন খুশি লাগতেছে। আমার স্যার ও ভিষন ২০২১ কে ধন্যবাদ জানাই।
একই উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি গ্রামের চাঁদের হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমনা আফরোজ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনটি কবিতা ভিষন ২০২১ কে জমা দিয়েছিলাম। এরমধ্যে একটি কবিতা ‘জাতির পিতা, আমাদের শ্রেষ্ঠ মিতা’ বইটিতে ছাপানো হয়েছে। বিচারকদের প্রতি ধন্যবাদ, আমার লেখা কবিতা ওই বইতে স্থান পেয়েছে।’
অনুষ্ঠান স্থলে দাঁড়াবার মতো তিল ঠাঁই ছিল না। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ভীড় সামলাতে কাজ করেন সাড়ে ৩০০জন স্বেচ্ছাসেবক।’
অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরন ছাড়াও শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য মঞ্চে যাদু পরিবশেন করেন সূদুর ঢাকা থেকে আগত যাদু শিল্পী ডিএম মনোয়ার হোসেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কবি ও শিশু সাহিত্যিক আখতার হুসেন, সজুন বড়–য়া, রমজান মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিসদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, অভিনেতা ও সংগীত শিল্প ফজলুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মশফিকুল ইসলাম রিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ সরকারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
নতিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবসর জনিত বিদায়
নীলফামারী সদরের নতিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অবসর জনিত বিদায় ও নব গঠিত এভহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩) জানুয়ারি দুপুরে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাত প্রধান শিক্ষক মোতাহার…