পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও কোন অংশে কম নয়। তাদের ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই। বিরামহীন ভাবে ৮ ঘন্টা কাজ করার পরও তাদের মানসিকতার কমতি নেই। রাস্তার কাজ শেষে স্বামীর সংসারের কাজেও ফাঁকি নেই তাদের। এমনটাই জানালেন নারী শ্রমিক নেত্রী মরিয়ম।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে নীলফামারী ডিমলা উপজেলাএলজিইডি বাস্তবায়নে, রাস্তা সংরক্ষণ,খাল খন্দক পূরণ, আগাছা পরিস্কার সহ উঁচু সোল্ডার কেটে নিচু এবং রাস্তায় জলাবদ্ধতা হলে ড্রেন কেটে পানি বের করে দেয়ার জন্য চুক্তি ভিক্তিক ১০ সদস্যর একটি করে টিম নিয়োগ দেয়া হয়।
১৪ মে সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ৭ নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন ডালিয়া হাইওয়ে রোড হয়ে গোডাউনের হাট রাস্তায় নিয়োজিত এল,সি,এস মহিলা কর্মী রাস্তার কাজ করছেন। তাদের মনিটরিং করছেন সুপার ভাইজার মো: হালিমুর রহমান। মহিলা শ্রমিক টিমের কল্পনা, মিনকী,শাহের বানু ও দল নেত্রী মরিয়ম বলেন, দলের প্রত্যেকে স্মামী পরিত্যাক্তও স্বামী হারা। ৩ বছর ৭ মাস চুক্তি ভিত্তিক এ চাকুরিতে ২৫০ টাকা দিন হাজিরা। পুরুষ ও নারী শ্রমিক হিসেবে সরকারের এ বৈষম্য দূর করা উচিত। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া যে কর্মসংস্থানে আমরা নিয়োজিত আছি তা যেন দীর্ঘ মেয়াদি হয়, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদেরও মেয়াদ যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা আমাদের প্রাণের দাবি।
তাদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপারভাইজার বলেন বাংলাদেশ সরকার গ্রাম্য মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য এল,সি,এস এর আওতায় চুক্তি ভিক্তিক এ চাকুরী প্রদানে সরকারকে সাধুবাদ জানাই।বেতনের বিষয় তিনি বলেন,প্রতি মাসে তারা ৭ হাজার ৫ শত টাকা করে বেতন পান
এর মধ্যে ২ হাজার ৫ শত টাকা জমা রাখা হয়,হাতে পায় ৫ হাজার টাকা। এর ফলে এক দিকে যেমন তারা একটু হলেও সংসারে সহায়তা করছেন,অপর দিকে চাকুরী শেষে জমানো টাকা পেয়ে তারা হবে সাবলম্বি।