নীলফামারীতে বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটারে সংযোগ দিয়ে গিয়ে ৬ পরিবারের ১৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ মে) বিকালে জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালিপাড়া (সরকার পাড়া) গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের।
খবর পেয়ে, নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে ওই গ্রামের আরও ১৭ পরিবারের বসতঘর রক্ষা পায়।
এ ব্যাপারে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম জানান, ওই গ্রামের রশিদুল ইসলামের বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নতুন মিটার স্থাপনের পর সংযোগ দিলে বৈদুতিক মিটারটি হঠাৎ শটসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বছিয়ার রহমানসহ ওই গ্রামের রশিদুল, শহিদুল, আবুল কালাম, আব্দুস সালাম ও আবুল কাসেম এর ১১টি বসতঘর এবং ঘরে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা, ধান, চাল , ভূট্টা, তামাক, দুটি ফ্রিজ, দুটি টেলিভিশন, চারটি ফ্যান ও আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নীলফামারী দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. মিয়ারাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়ির মিটার বিস্ফোরিত হয়ে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ধারনা করা হচ্ছে ক্ষতির পারিমান প্রায় ৩৫-থেকে ৪০ লাখ টাকা হবে।
রবিবার (১৪ মে) সকালে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সুলতান নাছিমুল হক বলেন, ওই বাড়ির পুরানো মিটার পরিবর্তন করে নতুন ‘মিটার স্থাপনের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম কাজ করেছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে কি কারণে এমনটি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ওইদিন রাতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ছয় পরিবারকে তিন হাজার করে টাকা, উপজেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রত্যেক পরিবারকে দুইটি করে কম্বল, এক বস্তা করে শুকনা খাবার বিতরন করেন। এছাড়াও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে মোট পাঁচ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।