নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রায় অর্ধশত বছরের একটি কাঠ জাতীয় গাছ কর্তন করে লক্ষাধিক টাকার সরকারি জায়গা দখল করে দোকানঘর উত্তোলন করলেও দেখার কেউ নেই। ঘটনাটি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী বাজারে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বাজারের কাপড় পোট্ট্রিতে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় কাঠ জাতীয় একটি জীবন্ত মান্ডালের গাছ ছিল। গাছটির গোড়ায় লবণ ও বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়। মঙ্গলবার দিনেদুপুরে গাছটি কর্তন করে দোকানঘর উত্তোলন করে ওই এলাকার মৃত্যু এয়ার উদ্দিনের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন।
নাম না বলা শর্তে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর বাহিনী দিয়ে গাছটি উত্তোলন করে, প্রশাসনকে না জানিয়ে সেই পরিত্যক্ত বাজারের জায়গাটি কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে দেয়। কিন্তু কেন দিলো কিভাবে দিল কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মোটা অর্থ নিয়ে মেম্বার ও চেয়ারম্যান জায়গাটি ছেড়ে দেয়, নাম না বলা শর্তে অনেকে এসব কথা বলেন। আবার কেউ বলছে, পেশিশক্তির কাছে সবাই জিম্মি, বলতে গেলে জীবনের উপর ধাক্কাও আসতে পারে।
আনোয়ার হোসেনের দেখা না হলেও তার ছেলে বলছে, আগে থেকেই আমরা ওই জায়গাতে ব্যবসা করে আসছি। গাছটি শুকনো ও ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় আমার চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন দিয়ে ঝুকিপূর্ণ গাছটি কর্তন করে পরিষদে রাখে। এরপর আমরা দুটো দোকান এটাস্ট করার জন্য কাজ করতেছি। ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদেককে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিকে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে বলেন, আমি শুনেছি আমার সহকারী ইউএনও স্যার কে জানিয়েছে। তারপরও আমি দেখে শুনে ব্যবস্থা নেবো।
বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি কিছুই জানিনা।