বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও পুলিশ হত্যার প্রতিবাদে নীলফামারীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। রবিবার(২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর। এসময় তিনি বলেন, শুধুমাত্র দলীয় নেতাকর্মী দিয়ে আন্দোলন হয়না। আন্দোলন তখনই হবে যখন জনগণ আপনার সঙ্গে থাকবে। আমি মনে করি জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে এবং শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক দলকে বাংলার মাটি থেকে নিচিহ্ন করবে। তিনি আরও বলেন, তাদের মতো করে আমরা বাড়ির পিছন দিক দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা প্রাসাদ সড়যন্ত্র করি না, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। আজকে শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার ওপরে একটাবারও হামলা হয়নি। আমরা এই রাজনীতিতে বিশ^াস করিনা, তাই হয়নি। আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ^াস করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, ঠিক এইভাবে বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে আমাদেরকে আরেকটা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে সেই যুদ্ধ হবে গণতন্ত্রের যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ হবে উন্নয়নের যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ হবে জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যেন আমরা কোন রকম অবহেলা না করি, উদাসীন না থাকি। সবসময় সচেতন থাকবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন ইনশাআল্লাহ আমরা ৭১ এ যেমন বিজয়ী হয়েছি, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে যেভাবে বিজয়ী হয়েছি, ঠিক এইকভাবে আগামীতেও বিজয়ী হবো।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রশীদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের তিন সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।