দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছয়দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম আরও এক দফায় কমে পাইকারিতে ২৮ থেকে ৩০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে কাঁচা মরিচ নিয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।
অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ ও মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থির অবস্থা থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম কমায় এলাকার ক্রেতা সাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে ক্রেতা সাধারণের প্রত্যাশা, রমজান মাস পর্যন্ত যেন কাঁচা মরিচের দাম এভাবেই যেন থাকে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফুলবাড়ী পৌরশহরের পাইকারী সবজি বাজারে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের কাঁচা মরিচ ২৮ টাকা এবং দেশি জাতের কাঁচ মরিচ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। অথচ গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পাইকারি বাজারে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের কাঁচা মরিচ থেকে ৪০ টাকা এবং দেশি জাতের কাঁচ মরিচ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১২ টাকা এবং দেশি জাতের কাঁচা মরিচের কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দাম কমে এসেছে।
স্থানীয় খুচরা বাজারে বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং দেশি জাতের ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা ছাড়াও সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেও কাঁচা মরিচ কিনে আনছেন। ফলে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রেতারাও পাইকারি ব্যবসায়িদের দরের কাছাকাছি দামেই কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।
পৌরশহরের খুচরা ব্যবসায়ি হারুন উর রশী ও শাহ আলম বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও দাম কমে এসেছে। সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়িরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচা মরিচে কেনার জন্যও দাম কমেছে কাঁচা মরিচের।
ফুলবাড়ী বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ি আব্দুল জলিল, বিধান সাহা, দীপক কুমার, হামিদুল হক ও তুহিন হোসেন বলেন, স্থানীয় কৃষকের জমিতে এবার মরিচের আবাদ ও উৎপাদন দু’টোই বেড়েছে। ফলে ফুলবাড়ীর পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও অনেক বেড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যাতে কেউ অযৌক্তিকভাবে বাড়াতে না পারে, সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম কমে আসলে সব শ্রেণির ক্রেতার জন্যই স্বস্তিদায়ক হয়।