জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আয়োজনে গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে নীলফামারী সদর উপজেলার রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন অডিটোরিয়াম রুমে উপজেলা পর্যায়ে জানো প্রকল্পের সাফল্যকথা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানো প্রকল্পের সাফল্যকথা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: হাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার, নীলফামারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহিদ মাহমুদ চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ এবং উপদেষ্টা, উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মো: আইবুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব, উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি, নীলফামারী সদর,নীলফামারী। মোঃ জছিজুল আলম মন্ডল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, নীলফামারী সদর, নীলফামারী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, এস এমসি, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও ইএসডিও’র প্রতিনিধিবৃন্দ। সভার শুরুতেই সভাপতি মহোদয় জানো প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে চলমান কর্মসূচী ও প্রকল্প শেষে গংগাচড়া উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজগুলো যেন চলমান থাকে এর করনীয় বিষয়গুলোর প্রতি সকলের অংশগ্রহন কামনা করেন।
এরপর নীলফামারী সদর উপজেলায় জানো প্রকল্পের বিদ্যালয় ভিত্তিক বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং এই কার্যক্রমের প্রভাব সমূহ সম্পর্কে উপস্থাপন করেন শারমীন সুলতানা, টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট (জেমস) প্লান ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ,রংপুর।
এছাড়াও নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে আগত শিক্ষকবৃন্দ, এসএমসি প্রতিনিধিবৃন্দ, স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ও প্রকল্প শেষে করনীয় দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: হাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার, নীলফামারী বলেন, জানো প্রকল্পের বিদ্যালয় ভিত্তিক বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো নিয়ে প্রশংসা করেন। বিশেষ করে জানো প্রকল্পের মত স্কুলভিত্তিক সবজি বাগান যেন চলমান থাকে এর জন্য তিনি সকল শিক্ষক এবং এস এমসি সদস্যদের বিশেষ দৃষ্টি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন ,পুষ্টি উন্নয়নে জানো প্রকল্পটি শুধু বিদ্যালয়ে নয় প্রতিটি দপ্তরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে প্রশংসনীয় কাজ করছে,এজন্য তিনি ধন্যবাদ ঞ্জাপন করেন।
জানো প্রকল্পটি কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন। প্রকল্পটি রংপুর ও নীলফামারী জেলার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষ্যে কাজ করেছে যা সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা-২০১৬-২৫ অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।