আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রেকর্ড করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা তুলেছে ৩ উইকেটে ২৩৯ রান। সেঞ্চুরি করেছেন উইল জ্যাকস। এবারের আসরের সর্বোচ্চ তো বটেই বিপিএল ইতিহাসে যৌথ সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি।
বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড হয়েছে এই চট্টগ্রামেই। এখানে যে রান হয় সেটি নিয়মতি বিপিএলে খেলাদের অজানা নয়। তবু টস জিতে চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোমের বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত কিছুটা অবাকই করেছে।
উদ্বোধনী জুটিতে জ্যাকস ও লিটন তোলেন ৮৬ রান। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করে লিটন ফিরলে জুটি ভাঙে। পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা তোলে বিনা উইকেটে ৬০ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আল আমিনের করা ৬ বলে জ্যাকস ও লিটন মিলে করেন ২৭ রান। যা এবারের বিপিএলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে ওভার।
লিটনকে ফেরানো শহিদুল পরের বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয়কে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। এরপর সৈকত আলীও ১০ রান করে ফেরেন। পরের গল্পটা জ্যাকস-মঈনের। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছেদ্য ১২৮ রানের জুটি গড়েন তারা।
এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম দুই ইনিংসে ২২ ও ৯ রান করেছিলেন জ্যাকস। তৃতীয় ম্যাচে এসে জ্যাকস পেলেন সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেললেন। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১০ ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে জ্যাকসের শতক ছিল দুটি। যার একটি এ বছরই। এসএটি-টোয়েন্টিতে গত জানুয়ারিতে প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের হয়ে ৪১ বলে। অন্যটি ২০২২ সালে, দ্য হান্ড্রেডে।
সোমবার রাতে কুমিল্লি ভিক্টোরিয়ান্স দলে যোগ দেওয়া মঈন আলি অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৫৩ রান করে। মঈনের ইনিংসে ছিল ২ চার ও ৫ ছক্কা।
বিপিএলে এর আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ২০১৯ সালে। রংপুর রাইডার্স করেছিল ২৩৯/৪। সেটিও এই ভেন্যুতেই। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে।