নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় জানো প্রকল্পের বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আয়োজনে এবং উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় এই বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম রেজওয়ানুল কবীর, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন আহমেদ, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌসুর রহমান, শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ হাসীন, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল ও সোহরাব হোসেন তুহিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনয়নের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, উপজেলা সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, এস এমসি, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং কেয়ার বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জানো প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরসিয়া রহমান।
সভার শুরুতেই জানো প্রকল্পের কার্যক্রম এবং উপজেলা পুষ্টি কমিটির বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং এই কার্যক্রমের প্রভাব সমূহ সম্পর্কে উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশ, জানো প্রকল্প ম্যানেজার মাল্টি সেক্টরাল গর্ভন্যান্স গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও সভায় জলঢাকা উপজেলার মাঠ পর্যায় হতে আগত কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্য, স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী , উপজেলা পুষ্টি কমিটির সদস্যগণ তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ও প্রকল্প শেষে করনীয় দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
জানো প্রকল্পটি কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন। প্রকল্পটি রংপুর ও নীলফামারী জেলার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষে কাজ করেছে যা সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা-২০১৬-২৫ অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।