নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের জনতা। বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি দুই ঘন্টাব্যাপি ওই মানববন্ধন চলে শহরের তামান্না হল থেকে শুরু করে ওয়াপদা পর্যন্ত সড়কের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে।

এতে ব্যানারসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন,রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় বক্তব্য বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আজিজুল হক, বাম দলের নেতা দেলোয়ার হোসেন জাভিস্ক, সৈয়দপুর উপজেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার, অটো শ্রমিক নেতা দিলীপ,মোকাররম, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল কবির,অটোচালক রাশেদ, সোহাগ,আনিছুল ইসলাম, আইউব আলিসহ অনেকে।

তারা বলেন, সৈয়দপুর একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এ পৌরসভার আয় অনেক। মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী নির্বাচিত হওয়ার প্রায় তিন বছর হল। তার মেয়াদকাল আর বাকি রয়েছে দুই বছর। কিন্তু তিনি তিন বছর সময় পার করলেও এখন পর্যন্ত শহরে কোন ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন থেকে তামান্না সিনেমা হল থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তাটি বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। রাস্তাটির কোন কোন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে মনে হয় ডোবায় পরিনত হয়েছে। এক কথায় যানবাহন তো দুরের কথা মানুষ পায়ে হেঁটে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। বার বার মেয়র রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও কাজের কাজ হয়না কিছুই।

সম্প্রতি মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী ও তার পৌর পরিষদের কাউন্সিলরদের নিয়ে রাস্তাটি লোক দেখানো সংস্কার কাজ করেন। এতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪৭ লাখ টাকা। তাদের দাবি ওই টাকার পুরোটাই করা হয়েছে ভাগবাটোয়ারা। দুদিন যেতে না যেতেই রাস্তা ভেঙ্গে আবার পুর্বের অবস্থায় এসেছে।

প্রতি অটোরিকশা থেকে বছরে পৌরসভাকে দেয়া দুই হাজার করে টাকা। এ শহরে প্রায় ৭ হাজার অটোরিকশা চলে। তাহলে প্রতি অটোরিকশা থেকে দুই হাজার টাকা নেয়া হলে ৭ হাজার অটোর থেকে বছরে কতগুলো টাকা আসে। এ টাকাগুলো আসলে কোথায় যায়।

তাদের দাবী দ্রুত সময় রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু না করলে তারা পৌরসভা ঘেড়াও করবে এমন হুমকী দেয়া হয়।

শুধু ওই রাস্তাটি নয়। শহরের প্রায় প্রত্যেক রাস্তার করুন অবস্থা।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, ওই রাস্তাটি সংস্কার করতে প্রায় কোটি টাকার প্রয়োজন। টাকার অভাবে রাস্তাটির কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে।