নীলফামারীতে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশার কারনে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বোরো রোপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছে কৃষকেরা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে বীজতলা সাদা ও ফ্যাকাশে হয়ে মরে যাচ্ছে। বোরো ধানের চাড়া নষ্ট হওয়ার কারনে জমিতে বোরো রোপন করতে পারছে না কৃষকেরা। চাড়া ভালো না থাকার কারনে বোরো রোপনে বিপাকে পরছেন বলে জানান চাষীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের বীজতলার চাড়া সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা হতাশা হয়ে অনেকে নতুন করে ধানের বীজ ফেলানোর জন্য জমি পরিচর্জা করছেন। নতুন করে বীজ ফেলানোর পর চাড়া উত্তোলন করে রোপন করতে আরো অনেক দেরী হবে, তাই তারা এখন কি করবে,দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে বোরো রোপনের জন্য বীজ তলায় ধানের বীজ ফেলাই,এবারের প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে আমার বীজ তলার সব বীজের চাড়া সাদা ও ফ্যাকাশে হয়ে মরে যাচ্ছে।আমি এখন বীজ কোথায় পাবো,ক্ষেতে কিভাবে চাড়া রোপন করবো এই চিন্তায় আমি দিশেহারা হয়ে পরেছি। আমি ধানের চাড়া উত্তোলন করতে না পেরে এখনো বোরো রোপন করতে পারছি না। গত বছর অনেক আগেই আমি বোরো রোপন করা শেষ করেছিলাম।
সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক রুবেল সরকার বলেন,আমি ১৫ বিঘা বোরো লাগানোর জন্য বীজতলায় বীজ লাগাই, চাড়া বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এবারের ব্যতিক্রম শীত ও কুয়াশার কারনে বীজতলার সব চাড়া নষ্ট হওয়ার দিকে। মনে হয় অল্প কিছু চাড়া লাগাতে পারবো, সম্পুর্ন জমিতে বোরো লাগাতে পারবো না। আমি এবার সব জমিতে বোরো রোপন করতে না পারলে সংসারের অভাবের ঘানি টানতে হবে।পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো দুশ্চিন্তায় পরেছি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.আবু বক্কর মো.সাইফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন,এবার উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার ২২ হেক্টর। তীব্র শীতের কারনে বীজতলা কিছুটা ব্যহত হয়েছে। বোরো রোপন করতে আমরা সার্বক্ষনিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।