নিজস্বব প্রতিবেদক
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছে বিএনপি। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার প্রশ্নে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক লাভ-ক্ষতি হিসাব কষছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এবার আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে না করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এ নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না। তাতে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সরকারি দলের ‘একতরফা’ প্রভাব কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।
বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এবার আওয়ামী লীগের অনেকে উপজেলায় নির্বাচন করবে। সংসদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে (আওয়ামী লীগ ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী) যে বিভক্তি হয়েছে, তা শিগগির মিটবে না। নির্বাচনে অংশ নিলে সেখান থেকে বিএনপির জন্য একটা সুবিধা আসতে পারে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপি শুধু নির্বাচনমুখী দলই নয়, এ দলের ভিত্তিই হলো জনগণ ও সুষ্ঠু ভোট। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আলোচনা হয়নি। সময় আসুক, তখন দেখা যাবে।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে প্রথম দিকে অংশ নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এর ধারাবাহিকতায় সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জন করে। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় কুমিল্লায় মনিরুল হক, নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকারসহ অনেককে দলীয় পদপদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।