নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পিতার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে হুমায়ুন কবীর বাবু (২০) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
এ সাজানো নাটকের সাথে জড়িত হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছ।
ঘটনাটি ঘটেছে ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার আরাজী হুগলী পাড়ায়।
এ ব্যাপারে ১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সৈয়দপুর থানায় প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।
ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দপুর সার্কেল কল্লোল দত্ত জানান, সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রবাসে চাকুরী করেন। তার ছেলে হুমায়ুন কবির বাবু (২০) রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী। সে মোবাইলে থাইগেমসে আসক্ত হয়ে পড়ে। এ খেলায় ওই ছেলে বেশ কিছু টাকা হেরে ঋণী হয়। ওই ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ চিন্তায় তার মাথা নষ্ট। এরই মধ্যে তার মা স্বামীকে ছেড়ে অন্য এক লোককে বিয়ে করে ঢাকায় থাকেন। এদিকে তার প্রবাসী বাবাও আরেকটা বিয়ে করেন।
ছেলেকে ঠিকভাবে টাকা পয়সা পেত না। তার ওপর অনেক টাকা ঋণ। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে এ চিন্তা তাকে দিশেহারা করেছে। তাই সে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে অটো করে চলে যায়। সেখানে পাগলের মত হাটাহাটি করতে থাকে। এ অবস্থায় সেখানে নীলফামারী সদর চাঁদের হাট এলাকার হাবিবুর রহমান নামে এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। কথা বলাবলির এক পর্যায় ঋণের টাকার বিষয়টি তাকে খুলে বলে।
বাবু তাকে প্রস্তাব দেয় একটি মিথ্যে অপহরণ নাটক সাজার। ওই নাটক সাজিয়ে বাবু তার বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে। যে টাকা পাবে তা থেকে কিছু টাকা তাকেও দেবে।
এ সিদ্ধান্তে এক হয়ে হাবিবুর রহমান তার বাসায় বাবুকে নিয়ে যায়। সেখানে বাবুকে ৭দিন গোপনে রাখে। এরই মধ্যে অপহরণ বিষয়টি তার বাবার কাছে জানানো হয়। এ কথা শোনার পর বাবুর বাবা নগদ ও বিকাশে কয়েক হাজার টাকা দেয়।
পরে বিষয়টি সন্দেহজনক হলে থানায় জিডি করা হয়।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে। এক পর্যায় মিথ্যে অপহরণ কারীর হোতা বাবুকে উদ্ধার করা হয় হাবিবুর রহমানের বাসা থেকে। তবে এ সময় হাবিবুর পলাতক ছিল। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে সৈয়দপুর থানায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দপুর সার্কেল কল্লোল দত্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শাহা আলম, ওসি তদন্ত এস.এম সোহেল রানা, বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।