নীলফামারীতে ফারুক হোসেন রুবেল (৪৫) নামে এক ভুয়া চিকিৎসকের এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজ উদ্দিন ওই সাজা প্রদান করেন।
এসময় ওই চিকিৎসকের চেম্বার শহরের মাধার মোড়ের মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক এক মাসের জন্য সিলগালা করা হয়। ভুয়া ওই চিকিৎসক অন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ও পদবী ব্যবহার করে ওই ক্লিনিকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহে দুই দিন চেম্বার করে চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন।
ভুয়া চিকিৎসক ফারুক হোসেন রুবেল রংপুর জেলা সদরের ময়নাকুঠি নীলকন্ঠ এলাকার মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে দাবি করেন এসময়।
সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, ভুয়া চিকিৎসক ফারুক হোসেন রুবেল অন্য এক চিকিৎসকের নাম ও পদবী ব্যবহার করে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে চেম্বার করে আসছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। শুক্রবার ১২টার দিকে ওই ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ফারুক হোসেন রুবেলকে এক বছরের কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাাশি ভুয়া চিকিৎসককে চেম্বার করার জায়গা দেওয়ার জন্য মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকটি এক মাসের জন্য সিলগালা করেন।
এদিকে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের মালিক জেলা শহরের রশিদুল ইসলামের দাবি ভুয়া চিকিৎসকের বিষয়টি অজানা ছিল তার। তিনি বলেন, ‘ফারুক হোসেন রুবেলের কাছে বারবার তথ্য চাওয়া হয়েছে’। অপরদিকে ফারুক হোসেন রুবেলের দাবি ক্লিনিক মালিক রশিদুল ইসলামের অনুরোধে সেখানে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার করে রোগি দেখছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী ওই সাজা প্রদান করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন রুবেলকে বিকালে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।