মো. আব্দুল হালিম
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে পরিচালিত আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে। ফলে, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণকে বজায় রাখতে জনগণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতার প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনরায় জয়ী করা। দেশের জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রচর্চা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণ একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সম্ভব। এছাড়াও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।
বিগত দিনে আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার সরকার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং জনগণের কল্যাণ সাধনে শতভাগ বদ্ধপরিকর থেকেছে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই কালক্ষেপণ না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আমরা জানি যে কোনো রাষ্ট্রে সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের মন্ত্রিসভা। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিসভা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এবং সফল হবে নিঃসন্দেহে।
পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নানা রকম দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
জাতির পিতা যেমন সর্বদা অন্যায়, অত্যাচার কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ, দেশে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় নতুন মুদ্রানীতি বিষয়ক একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছে। সীমিত আয়ের জনগণকে সহযোগিতায় পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ও অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা পয়সায় খাদ্য প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের গৃহহীনদের জন্যে গৃহায়ন প্রকল্পটি প্রশংসা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। জাতির পিতার আদর্শের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা কৃষি ও কৃষকের কথা ভেবেছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে।
তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট) নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে, দেশের পণ্য রপ্তানির বহুমুখীকরণ, পণ্যের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান, পোশাক শিল্পের বিকাশের মতো চামড়া, পাট ও কৃষি শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইসিটি শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে কাজ করবে।
সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিদান নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং সর্বোপরি দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে প্রাপ্তি হবে নিঃসন্দেহে। আর নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।