আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে তিন থাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছর ১৪৫ দেশের মধ্যে ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে এ অবস্থান ছিল ৪০তম। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স’ বা জিএফপি সূচিতে এ কথা জানানো হয়েছে। সেনার সংখ্যা, সমরাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের মান ও পরিমাণ, উৎকর্ষ, সেনা সন্নিবেশের কৌশলগত অবস্থান এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক হাল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত হয়েছে ওই তালিকা।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের শক্তিমত্তার সূচক অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৫৮৭১। এবার সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ০৬৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশের তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় ভারত চতুর্থ, পাকিস্তান নবম, মিয়ানমার ৩৫তম, শ্রীলঙ্কা ৭৭তম ও নেপাল ১২৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার সবচেয়ে শেষে ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান। শক্তিমত্তার সূচকে দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৩৭০৪।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা ৩২০। সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে ২৭টি। বাহিনীটির টোয়েড আর্টিলারির সংখ্যা ৪৩৭। আর রকেট আর্টিলারি রয়েছে ৭১টি।
অপর দিকে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা অনুমানিক ২৫ হাজার ১০০। নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে ফ্রিগেট সাতটি, করভেট ছয়টি, সাবমেরিন দুটি, টহল নৌযান ৫৫টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার রয়েছে ৫টি। তবে বাংলাদেশের কোনো ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, বিমানবাহী রণতরি ও হেলিকপ্টারবাহী রণতরি নেই।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বাংলাদেশের বিমানবাহিনীতে আনুমানিক ১৭ হাজার ৪০০ জন বিমানসেনা রয়েছেন। বাহিনীটির মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১৬। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, পরিবহন বিমান ১৬টি ও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৭টি। পাশাপাশি বিশেষ অভিযানের জন্য বিমান বাহিনীর চারটি উড়োজাহাজ রয়েছে।