দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের জীবন। গত কয়দিনের হিমশীতল বাতাসের সাথে কনকনে শীতে শ্রমজীবী মানুষগুলো তেমন একটা কাজ করতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সারাদিন হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ীর জনজীবন। কনকনে বাতাসে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এরফলে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষ। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও এই শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। কৃষকরা তাদের গবাদিপশুগুলোকে চটের বস্তা পরিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চেয়ে গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাপামাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে এসেছে। গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ০১ নটস। একইভাবে সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ০৩ নটস। অথচ গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ২ নটস। তিনি বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে খড় কুটো জ্বালিয়ে শীত বিরারণের চেষ্ট করছেন।
এদিকে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসা শীতবস্ত্র কম্বল অনেক আগেই বিতরণ শেষ হওয়ায় এই শীতে নি¤œ আয়ের মানুষদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, শীতবস্ত্রের যা বরাদ্দ এসেছিল তা ইতোমদ্যেই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন কোনো বরাদ্দ আসেনি।