দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) সংসদীয় আসনে ৭ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন।

গত রোববার ভোট গ্রহণ শেষে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। 

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের  মধ্যে ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে 

মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৮। ১৬৯ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৭০ টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৬২২ ভোট। গৃহীত হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪৮ টি। এর  ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১২ হাজার ৬২৭, যা পাননি ৪ প্রার্থী। এখানে  স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক কাচি প্রতীকে ৬৯ হাজার ৯১৪টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন ট্রাক প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩০১ ভোট পান। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান লাঙল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট পান।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন তৃণমূল বিএনপি’র ড. আব্দুল্লাহ আন নাসের। তিনি সোনালী আঁশ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৭০ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আন্দোলনের (বিএনএম) এম সাজেদুল করিম। নোঙ্গর প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. আজিজুল হক। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৮৮ ভোট। আর ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) মো. আব্দুল হাই সরকার। তিনি আম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।