দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি আাসনের মধ্যে ২টিতে নৌকা, অপর দুইটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারী) রাতে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নীং কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় নীলফামারী ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের তছলিম উদ্দিন ভোট পান ২৪ হাজার ৬৬১।
নীলফামারী ২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী টানা চারবারের সংসদ সদস্য দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি আসাদুজ্জামান নুর ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ভোট পান ১৫ হাজার ৬৮২।
নীলফামারী ৩ (জলঢাকা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল জয়লাভ করেন। তিনি ভোট পান ৩৯ হাজার ৩২১। তার নিকটতম ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা ভোট পান ২৫ হাজার ২০৫। আর জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহম্মাদ সোহেল লাঙ্গল প্রতীকে ১০ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এই আসনে ৯জন প্রার্থী ছিলেন।
নীলফামারী ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হন জেলা জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত সহ সহসভাপতি কাঁচি প্রতীকর স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। তিনি ভোট পান ৬৯ হাজার ৯১৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। তিনি ভোটপান ৪৫ হাজার ৩০১। আর তৃতীয় স্থানে চলে যান বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আহসান আদেলুর রহমান আদেল। তিনি ভোট পান ৪১ হাজার ৩১৩।