দিনাজপুরের ফুলভাড়ীতে কেজিতে আদার দাম কমেছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর বেড়েছে রসুনের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ৪০ টাকা বাড়লেও কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
গতকাল বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ফুলবাড়ী পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ৪০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় এবং ৫টাকা কেজি দরের মুলা বেড়ে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ৭৫ টাকা কেজির করলা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে ৭৫ টাকা কেজির পটল এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়, ৭০ টাকা কেজি দরের দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ৯০ টাকা কেজি দরের মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং ৮০ টাকা কেজির শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে ৫০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহে আমদানিকৃত আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজি দরের দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। এতে প্রতি কেজিতে প্রকার ভেদে আদার দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
অপরদিকে গত সপ্তাহে চায়না রসুন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন সেই রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ২০০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। এতে উভয় রসুনের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬০টাকা।
পৌর বাজারের কালীবাড়ী এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র সাহা বলেন, সবজির দাম কমলেও রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদানুযায়ী রসুন কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে কম রসুন দিয়েই হোটেলের তরিতরকারি রান্না করতে হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা শ্যামল সরকার বলেন, মোকামে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশির ভাগ সবজির দাম কমে এসেছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সবধরণের সবজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে।
পাইকারি সবজি বিক্রেতা নবিউল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরণের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে দেশি ও চায়না উভয় রসুনেরই সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি বাজারেই প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এ কারণে খুচরা বাজারেও রসুনের দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে রসুনের দামও কমে আসবে।