নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারকে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরম্পরার রূপরেখা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ইশতেহার- স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

ড. আতিউর রহমান বলেন, এই ইশতেহার নিঃসন্দেহে আমাদের উন্নয়নের পরম্পরার গল্প। বঙ্গবন্ধু কন্যার পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবুও তিনি গত ১৫ বছরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদেরকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নিত হওয়ার গল্প এবারের ইশতেহার। এটা শুধু গল্পই নই এর মাঝে রুপরেখাও আছে। একই সঙ্গে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছেও তাও তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমুল্য বাড়ার কথা হচ্ছে, কিন্তু একই সময়ে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে কি হচ্ছে তা বলা হচ্ছে না।’ তরুণদেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন , তরুণরা যেন ভোট দিতে যায়। ভোটের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ভোট দিতে গেলেই দেশটা সুন্দর হয়ে উঠবে।’

এবারের ইশতেহার বাস্তবায়ন হলে দেশের ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে উল্লেখ করে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে কৃষিতে যেসব প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে তার মাধ্যমে দেশে কৃষি বিপ্লব হয়েছে।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। 

আলোচনা সভার শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ‘গো ভোট’ ক্যাম্পেইন করেন আলোচকেরা।