নীলফামারী জেলার সরকারি প্রাথমিক, কিন্ডাগার্টেন ও অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বছরে নতুন বই তুলে দিতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবছরের ১জানুয়ারী দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব পালন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বই পেয়ে আনন্দে ঘরে ফিরে। এবারও নতুন বছরে তাদের হাতে বই তুলে দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে বই বিতরণ করছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী শতভাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কোন প্রকার বইয়ের ঘাটতি নেই। প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে ২লক্ষ ৯৬হাজার, জলঢাকায়- ৩লক্ষ ৪৫ হাজার ৮০০, ডিমলায়- ২লক্ষ ৯৭হাজার ৯২৫, ডোমারে-২লক্ষ ৪৬হাজার ৩৩০, সদরে- ৪লক্ষ ১৮হাজার ৫৩০ ও সৈয়দপুরে- ১লক্ষ ৯৬হাজার ৭৫০কপি সহ মোট বইয়ের সংখ্যা ১৮লক্ষ ১হাজার ৩৩৫ কপি। জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা- ১০৮৪টি, পরীক্ষণ-১টি, এনজিও- ১২২৪, কিন্ডাগার্টেন-৪১১টি, উচ্চ বিদ্যালয়-১১টি, নি¤œমাধ্যমিক-০২টি, আন রেজিঃ বেসরকারি-১৬৩ ও অন্যান্য ৬৭টি বিদ্যালয় সহ মোট ২ হাজার ৯৬৩টি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে শতভাগ। জেলার সকল উপজেলায় সম্ভাব্য ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা- ৩লক্ষ ৬৯ হাজার ২৬০ ও পাঠ্য পুস্তকের চাহিদা ১৭লক্ষ ৩২ হাজার ৩৬৫কপি।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এম শাহজাহান বলেন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পালিত হবে বই উৎসব। এজন্য জেলার প্রতিটি উপজেলার সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাছে বই বিতরণ করা হচ্ছে। জেলার চাহিদা অনুযায়ী সকল শ্রেণির পাঠ্য বই শতভাগ হাতে পাওয়া গেছে।