নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনের আর মাত্র ১১ দিন বাকী। প্রচারের হাঁকডাক-নানা আয়োজনে জমে উঠেছে ভোটের পরিবেশ। নির্বাচনে অংশ নেয়া বেশকিছু দল ইশতেহার প্রকাশ করেছে। এবার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারও তৈরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য, দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার কথা। এবারের ইশতেহারে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে যে কয়েকটি বিষয়ে সেগুলো হলো: দ্রব্যমূল্য কমানো ও সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা, কর্ম উপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
প্রায় ১২ কোটি ভোটারকে সামনে রেখে বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রণয়ন করা ইশতেহার প্রকাশ করতে যাচ্ছে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আওয়ামী লীগ। বরাবরের মতো দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণা করবেন। আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার।
এর বাইরেও আওয়ামী লীগ সরকার তাদের চলমান কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় লক্ষ্য স্থির করেছে। ২০২৮ সালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৭১ বিলিয়ন ডলার করা হবে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশে, রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশে এবং প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে উন্নীত হবে ১৪ শতাংশে। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নেমে আসবে ৬ শতাংশে। ২০৪১ সাল নাগাদ দরিদ্রতা নেমে আসবে ৩ শতাংশে। ২০২৮ সাল নাগাদ নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে হতদরিদ্রের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য ঠিক করেছে। এছাড়া শিক্ষিত, দক্ষ, চৌকস ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলায়ও মনোযোগ দিবে দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে প্রাধান্য দিয়ে এরি মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার। চলমান মেগা প্রকল্প ছাড়াও সামনে আরো একাধিক প্রকল্পের পরিকল্পনা আছে বর্তমান সরকারের। আর এসব খাতে হবে অসংখ্য কাজের সুযোগ। শিক্ষিত, দক্ষ কর্মী সৃষ্টিই হবেই ইশতেহারের প্রধান লক্ষ্য।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, অর্থনীতি এবং আর্থিকখাতে সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।