এক থেকে পাঁচ টাকার প্রতিকী মূল্যে চাল, ডাল, আটা, তেল, লবন, কম্বল, টিশার্ট, মুরগি, মাছ, ডিমসহ ১৫ টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা পর্যন্ত কেনাকাটার সুযোগ পেলেন ২০০ অসহায় ও শ্রমজীবী পরিবার। স্বামী-স্ত্রী ঐক্যমতের ভিত্তিতে কেনাকাটা করার সুযোগ পেয়েছেন বিশেষ ওই বাজারে।
নীলফামারীতে রবিবার(২৪ ডিসেম্বর) ব্যতিক্রমী ওই বাজারের আয়োজন করে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের আনন্দবাবু পুল এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বাজারের উদ্বোধন করেন সুবিধাভোগী রাহেলা খাতুন দম্পতি। এরপর নির্বাচিতদের কেনাকাটা শুরু হলে চলে দুপুর আড়াইটা পর্য়ন্ত।
শর্ত অনুযায়ী ওই বাজারে পণ্য কিনেন স্বামী-স্ত্রীর ঐক্যমতের ভিত্তিতে। এজন্য বাজারে উপস্থি হতে হয়েছে একে অপরের জীবন সঙ্গীকে নিয়ে। তারা বাজার ঘুরে একমত হয়ে কিনেছেন পছন্দের বিভিন্ন পণ্য।
স্বামী-স্ত্রী ঐক্যমতে বাজার করে খুশি জেলা শহরের শাহীপাড়ার মো. বাবলু দম্পত্তি (৪৫)। অনুভুতিতে বাবলু বলেন,‘ওই বাজারোত ১৩ টাকার কেনাকাটা করিবার সুযোগ পাইছিনু। মোর বউর সঙ্গে পরামর্শ করি ১৩ টাকায় সংসারের মেল্যা জিনিষ কিনি আনিছু’।
তিনি বলেন,‘হামেরা বউর (স্ত্রী) মতামতের গুরুত্ব দিবার চাই না। কিন্তু এইঠে আসি শিখিনু ওমার (স্ত্রী) মতামতের গুরুত্ব দিলে অনেক ভালো কাজ করা যায়’।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী হাসিব মিয়া বলেন,‘কোন কারণ ছাড়াই আমরা অন্যের মতের বিরোধিতা করি। আমরা চাচ্ছি এ মানসিকতার পরিবর্তন। এ সংস্কৃতি ঘর থেকে শুরু করার উদ্যোগে আমাদের এ আয়োজন। এজন্য আমাদের আয়োজিত সুপারসপে প্রতিকী মূল্যে ক্রেতাকে তাঁর জীবনসঙ্গীর সাথে ঐক্যমতের শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কেনাকাটা শেষে আমরা তাদের উপলদ্ধি দেখেছি। তাদেরকে অনেক খুশি মনে হয়েছে’।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ব্যতিক্রমী ওই বাজার পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী হাসিব মিয়াসহ ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী।