নীলফামারীর ডোমারে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলার কারণে স্কুলের চারটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় স্থগিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। যথা সময়ে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য স্কুলের রুমের তালা খুলতে যান প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক। এসময় স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষককে রুমের তালা খুলতে বাধা দেয়। এতে হট্টগোল শুরু হয়। বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে স্থানীয় অর্ধশত যুবক।
জানা যায়, দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্ন কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক পদে ৪১জন চাকুরি প্রত্যাশী আবেদন করে। তাদের মধ্যে চারটি পদে চারজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিশৃঙ্খলার কারণে স্থগিত করা হয়। এর আগে পরীক্ষায় অনিয়ম, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়দের চাকুরি দেওয়া হতে পারে মর্মে ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সোমবার (১৮ডিসেম্বর) স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রত্না আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ডোল মেম্বার) নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখন তাকে নিয়োগ না দিয়ে সভাপতির ছেলে, মেয়ে, ভাতিজা ও নাতিকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে। এখন তিনি আমার দেওয়া টাকা ফেরত দিতে চান।
প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক বলেন, বিশৃঙ্খলার জন্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ডোল মেম্বার) বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরীক্ষায় যে উত্তীর্ণ হবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম বলেন, সেখানে বিশৃঙ্খলার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ নেই। তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অফিসে ডাকা হয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।