কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, কৃষিক্ষেত্র উন্নত হলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত হবে। আমাদের দেশে দিনদিন কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। আসছে নতুন নতুন উন্নতমানের ফল ও ফসলের জাত। আমাদের পারিবারিক পুষ্টি বাগান এবং পারিবারিক পুষ্টি বাগানের লক্ষ্য কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এই পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারবো। আমাদের কৃষকদের শুধুমাত্র ফসল উৎপাদন ও বিক্রি করলেই চলবে না। আমাদের কৃষকদেরও খেতে হবে এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। গত ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের আয়োজনে
‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের’ আওতায় বাস্তবায়িত ও স্থাপিত পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসলগ্রাম পরিদর্শন ও কৃষক-কৃষাণীদের সাথে
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটার কারণে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে এখন আর মঙ্গাবস্থা নেই। এ অঞ্চল থেকে মঙ্গা উঠে গেছে।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ বনি আমিন।
এসময় অনুষ্ঠানে বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন, বিএডিসি এনডিসি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরজমিন উইং পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. গোলাম ফারুক, দিনাজপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল, উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আমিনা খাতুন, চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুনাল্ট চাকমাসহ কৃষি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের দপ্তরপ্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কৃষাণ-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভার পূর্বে অতিথিবৃন্দ কয়েকটি পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিদর্শন করেন।