নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশে কমেছে দারিদ্র্যের হার। গড় আয়ু, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ছাড়াও অর্থনীতির নানা সূচকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে দেশ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এরইমধ্যে জানিয়েছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামনের বছর থেকে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ও দুর্নীতি কমানোই বড় চ্যালেঞ্জ।
যদিও করোনা মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক সংকট সামাল দিতে হিমশিম উন্নত দেশগুলোও। তবে এসব মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ঠিকই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এরই মধ্যে আমরা দরিদ্রতা, শিক্ষার হার, শিশুমৃত্যু কমানোসহ অনেক কিছুতেই সাফল্য পেয়েছি। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হিংসা ও ধ্বংসের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
কোথা থেকে শুরু
১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। নানা সময়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিন্হিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নানা উদ্যোগে বিজয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৯৪ থেকে ২৭৮ ডলারে উন্নীত হয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছাড়ায় নয় শতাংশ। বিজয়ের ৫৩ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দুই হাজার ৭৬৫ ডলার। মোট জাতীয় উৎপাদনের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শূন্য শতাংশ।
সেখান থেকে শুরু করে দেশ এখন ধারাবাহিক উন্নয়নের পথে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা সেতু, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, টানেলসহ অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ শেষে মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আর্থ-সামাজিক খাতে উন্নতি করেছে দেশ। তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতিই উন্নয়নের বড় বাধা। অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন চিন্তাবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমরা গত এক দশকে অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকেই এগিয়ে গেছি। অনেকটা ঠিক পথে আছি। সবাই যদি ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে গিয়ে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় তাহলে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত তৈরি করতে পারব।’