নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে সবার আগে যুবসমাজকে স্মার্ট হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান। তিনি বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ যুব, যারা জাতীয় উন্নয়নের ধারক বা বাহক। তাদের সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর যুব ভবনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ও মহান বিজয়ের মাস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দুর্নীতি, কুপমুন্ডকতা থেকে বেরিয়ে আসতে যুবসমাজকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে একযোগে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’ যুবসংগঠকদেরকে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নসহ ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার রোধ, সন্ত্রাসবাদ, যৌতুক ও বাল্যবিবাহ বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুবনারীদের ক্ষমতায়নসহ যুব নেতৃত্ব সৃষ্টি ও সার্বিকভাবে যুব কল্যাণার্থে আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠন এবং যুব ঋণের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম সচিব, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) খোন্দকার মো. রুহুল আমিন। স্বাগত বক্তব্য দেন জনাব মো: আ: হামিদ খান, পরিচালক (প্রশাসন)। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আতিকুর রহমান, উপপরিচালক (প্রশাসন), এবং মূখ্য আলোচক ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের।

সেমিনারে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় যুব কাউন্সিলের সভাপতি, যুব উদ্যোক্তা, আত্নকর্মী এবং যুব সংগঠনের নেতারা।