নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ রীতিমত শিকড় গেঁড়ে বসেছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে  জঙ্গিবাদকে লালন পালন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। সরকার আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের আস্কারা পেয়ে ইসলামী জঙ্গিরা দ্রুত বিস্তার লাভ করেছিল দেশের গ্রামেগঞ্জে। তাদের প্রধান টার্গেট ছিলো এদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক-বাহকরা। যারা মুক্ত চিন্তার প্রসার ঘটাতেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এটা সহ্য হচ্ছিল না জঙ্গি গোষ্ঠির, এমনকি তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতের।

অবশ্য বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করলেও, এদেশে জঙ্গিদের মূল প্রবক্তা ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার সামরিক শাসনামলেই ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠির আর্বিভাব ঘটে। আমেরিকার প্রতি দুর্বলতা থেকে জিয়াউর রহমান আমেরিকা বিরোধী শক্তি রাশিয়া-ভারতকে কোনঠাসা করতে জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।

গত কয়েক বছরে সেই জঙ্গিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটনে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন তিনি। তার গত ১৫ বছরেই শাসনামলেই দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূলে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বিশেষ করে ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু হয়। তারপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একের পর এক অভিযানে জঙ্গি আস্তানাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ বলেন,  ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের দর্শনকে পরাজিত করতে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনীতির অভ্যন্তরীণ মাত্রাকে প্রভাবিত করার জন্য ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস ব্যবহার শুরু করে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়া ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি দিয়েছিলেন, যা প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসবাদের বীজ বপন করেছিল এবং খালেদা জিয়ার শাসনামলে সন্ত্রাসবাদী দল এবং ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছিল,  যার জন্য আমরা সন্ত্রাসবাদের ঢেউ অনুভব করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কৌশল গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ সন্ত্রাস বিরোধী উদ্যোগের পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ঘেটে জানা যায়, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে মূলত জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত বলয় বিরোধী আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে জিয়া ১৯৭৯ সালে জঙ্গিদের উত্থানে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জিয়া।

তারই ধারবাহিকতায় ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আবারও দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটতে থাকে। যার হিংস্র চেহারা দেখা যায় ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ওই সময়ে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, সরকারের মন্ত্রীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে জঙ্গিবাদ দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে রাজশাহী অঞ্চলে বাংলা ভাইয়ের উত্থান ঘটে। তিনি গড়ে তুলেন জঙ্গি সংগঠন জা’মাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ(জেএমবি)।  যিনি প্রকাশ্যে মানুষকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যা করতো। আরেক জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ছিলেন তাদের গুরু। এরপর একে একে সারাদেশ জুড়েই জঙ্গিরা ডালপালা মেলে।

জঙ্গিবাদের এই যন্ত্রণা থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পরই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন শেখ হাসিনা।

জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হতে শুরু করে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে। গত কয়েক বছরে জঙ্গিবাদের মূলউৎপাটনে শেখ হাসিনার সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করে। যার ফলে দেশে জঙ্গিবাদ খুব একটা ডালপালা মেলতে পারেনি। জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও তার সরকারে ব্যাপক প্রশংসা হয়েছে। 

তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সালের শেষ পর্যন্ত। এই সময়েই যত্রতত্র বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। মারা গেছে বহু মানুষ। মূলত তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে।এই সময়েই দেশে গড়ে উঠে জঙ্গি সংগঠন সেগুলো হল, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদুল ইসলামী ও হিজবুত তওহিদ। তারা প্রকাশ্যে ও অবাধে তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করতে থাকে।

বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের অনেক নেতাই জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘গডফাদার’ হিসেবে কাজ করেছিলেন। জঙ্গি সংগঠন জেএমজেবির নেতা মওলানা শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে বিএনপির একাংশের এবং জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কটি ছিল ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম  ছিলেন জঙ্গি কর্মকাণ্ডের উপদেষ্টা। এছাড়া তৎকালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস দুলু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, রাজশাহীর তৎকালীন মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা ও সংসদ সদস্য আবু হেনার সঙ্গে গভীর সখ্যতা ছিল জেএমজেবির। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দেশে অন্তত ৩৩টি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় ছিলো। তবে ২০০৯ সালের বিভিন্ন নিরাপত্তা  প্রতিবেদন থেকে আরও ৩৩টি জঙ্গি সংগঠনের উপস্তিতি পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা কমপক্ষে ৭০টি।

দেশে যত জঙ্গি হামলা

জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করা জঙ্গি সংগঠনগুলো খালেদা জিয়ার শাসনামলে সক্রিয় ছিলো। এসব জঙ্গি সংগঠন ১৯৯৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ১০০টি জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। তাদের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ১৩৬ জন, আহত হয়েছে ২ হাজার ৪৮৮ জন।

১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ যশোরে উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর উপর প্রথম বোমা হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিরা তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। সেই হামলায় মারা যায় ১০ জন, আহত হয় ১০৬ জন। একই বছরের অক্টোবরের ৮ খুলনায় আহমদিয়াদের মসজিদে বোমা হামলায় মারা যায় আট জন, আহত হয় ৪০ জন। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিলে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় মারা যান ১০ জন। আহত হন একশরও বেশি। ২০০১ সালের ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সভায় জঙ্গিদের বোমা হামলায় মারা যায় ১২ জন। আহত হয় শতাধিক।

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরাতে শক্তিশালী দুটি বোমা হামলায় মারা যায় ৩ জন, আহত হয় ১২৫জনের বেশি। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের সিনেমা হলগুলোতে সিরিজ বোমা হামলায় মারা যায় ১৮ জন, আহত হন ৩০০ জন।

২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের দানিয়ার এক মেলাতে বোমা হামলায় মারা যান ৮ জন। ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারে বোমা হামলায় ১০ জন মারা যায় এবং আহত হয় ১৩৮ জন। একই বছর ২১ মে সিলেটে তখনকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় মারা যান দুজন, আহত হয় ২০ জন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ও বর্বর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে। নিষ্ঠুর ও ভয়ানক সিরিজ গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগ প্রধান আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত হন। আহত হয় পাঁচ শতাধিক। এ হামলায় তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের একটি বৃহৎ অংশ, বিশেষ করে বিএনপির তরুণ নেতৃত্ব তারেক রহমান ও জামাতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জড়িত ছিলো। এ ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।

২০০৫ সালে ১ জানুয়ারি বগুড়া ও নাটোরে বোমা হামলায় মারা যায় ৩ জন, আহত হন ৭০ জনের বেশি। ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা হামলায় মারা যান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন। আহত হন ১৫০ জন।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে প্রতিটি জেলায় বোমা হামলা করে জঙ্গিরা। ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালিয়ে দুই জন সহকারী জেলা জজকে হত্যা করা হয়।

২৯ নভেম্বরে চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে একসঙ্গে বোমা হামলা করা হয়। এ হামলায় মারা যান ৯, আহতের সংখ্যা ৭৮। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলায় নিহত হয় ৮ জন, আহত ৪৮ জন।

যেভাবে জঙ্গিদের নির্মূল করা হল

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিশেষ করে র‌্যাব ,পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জোরালো তৎপরতায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মূল উৎপাটনে অভিযান জোরদার করা হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। পাঁচ তরুণ জঙ্গি পিস্তল, সাব মেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র হাতে ঢুকে সেই রেস্তোরাঁয়। তারা গলা কেটে ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে মারা যান পুলিশের দুই কর্মকর্তা। এই ঘটনার পর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি মারা যায়।

এই ঘটনার ২৫ দিন পরেই রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বাড়ি বলে পরিচিত একটি ভবনে গড়ে তোলা জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় সিটিটিসি। সেখানে নয়জন জঙ্গি নিহত হয়। এরপর একে একে পরিচালিত হয় নারায়ণগঞ্জে অপারেশন হিট স্টর্ম-২৭, গাজীপুরের পাতারটেকে অপারেশন স্পেড-৮, সিলেটে অপারেশন টোয়াইলাইটসহ অনেকগুলো অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সিটিটিসির তথ্য অনুযায়ি,হলি আর্টিজানের ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান’পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬৩ জন জঙ্গি। এর মধ্যে হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীও রয়েছেন। গত ছয় বছরে সিটিটিসি মোট ৫৫৯ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া অনলাইনে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আরও ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এ বিশেষায়িত ইউনিটটি।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ি, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর তাদের পরিচালিত ৭৭৯টি উগ্রবাদবিরোধী অভিযানে ১ হাজার ৬৭৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ সময়ে তারা ৫৪টি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছেন। র‌্যাবের অভিযানেও হলি আর্টিজানের অন্যতম পরিকল্পনাকারী সারোয়ার জাহানসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের মানুষ পেয়েছেন স্বস্তি। অথচ এই জঙ্গিদের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতেই ভয় পেতেন। কখন কোথায় জঙ্গিরা হামলা করে তা নিয়েই শঙ্কিত ছিলেন দেশবাসী। সেই অবস্থা থেকে আজ বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দেশবাসী।