ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্র্যালয়ের আয়োজনে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ডিসেম্ববর) বিকালে জেনারেল হাসপাতাল সম্মেলণ কক্ষে জেলার ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া কর্র্মীদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০ লক্ষ ৯২ হাজার ১৬১জন লোকসংখ্যার জেলায় ছয়টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা (স্বাস্থ্য বিভাগীয় কাজ আলাদাভাবে পরিচালিত হয় ০২টি পৌরসভায়) ও ৬১টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪০টি অতিরিক্ত কেন্দ্র সহ স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৩ হাজার ৮০ এবং ১ম সারির সুপার ভাইজার ১৯১ জন এ কাজে নিয়োজিত থাকবে। ১২ডিসেমম্বর এ ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৩১ হাজার ৩৯২ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫৩ জন শিশুকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিাটমিন “এ” প্লাস ক্যাপসুুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। জেলায় মোট ০৬মাস-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩লক্ষ ৭হাজার ৪৫জন। এছাড়াও বিভিন্ন সমাগত স্থান, রেল স্টেশন ও বাস স্টান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উক্ত কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান বলেন প্রতিটি স্স্থ্যু শিশুকে ভরা পেটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তিনি আরও জানান ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত কারনে শিশুদের শুধু রাতকানা রোগ নয় অপুষ্টি জনিত আরও অন্যান্য রোগে শিশুরা সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়। শিশুদের এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বী প্রধান, প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, প্রেস ক্লাব যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নিখিল রায় ভূবন ও প্রেস ক্লাব কার্য নির্বাহি সদস্য একরামুল হক লাবু প্রমুখ।