নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, গুটি কয়েক রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়। এসব বৃহৎ শক্তিগুলোর কারণে মানবতা পদে পদে লাঞ্চিত হচ্ছে। প্যালেস্টাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের ভোটো প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ৭৫ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্যালেস্টাইনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যারা প্যালেস্টাইনে নির্বিচারে নারী ও শিশুদের হত্যা করেছেন তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেই আগ্রাসনের স্থায়ী অবসান ঘটবে।’

সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সব বিরোধীদল এই দেশে তাদের কথা বলছে, তাদের কর্মসূচি চলছে। তবে আন্দোলনের নামে দেশের জনগণের জানমালের উপর হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ যখন ঘটে তখনই সংকট তৈরি হয়৷ জনগণের জানমালের উপর হামলার বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, তখন পশ্চিমারা বলতে শুরু করে এই দেশে রাজনৈতিক অধিকার নেই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পশ্চিমাদেশগুলোর কূটনীতিকদের ভূমিকার সমালোচনা করে সভায় বক্তারা বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের দোহাই দিয়ে কোন কূটনৈতিক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা মন্তব্য করতে পারেনা। দফায় দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অনাকাঙ্খিত প্রস্তাবনা, সংলাপের আহ্বান, একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত হয়ে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বিশ্বে কোন দেশে এমন নজির নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশের মতো কূটনৈতিক আচরণ লঙ্ঘনের দৃষ্টতা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির মহাসচিব আবেদ আলী, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের এর পরিচালক ইকবাল বাহার, সদস্য ইকবাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি কে এম মোতালিব হোসেন প্রমুখ।