নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটের ডাকা নবম দফার অবরোধ কর্মসূচি। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা অবরোধ সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করেন। তবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখে অবরোধ কর্মসূচি চলছে, তা বোঝার উপায় নেই।
সোমবার রাজধানীর সড়কগুলো অন্য সব দিনের মতোই ব্যস্ত। প্রতিদিনের মতো সকালে শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। পুরান ঢাকার কোর্ট প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই গণপরিবহন যাত্রীদের সমাগম দেখাছে।
এদিন পুরান ঢাকার সদরঘাট, রায় সাহেব বাজার, নয়াবাজার, বংশাল, এলাকার সড়কগুলোতেও ট্রাফিক সিগনালে যানজট দেখা গেছে। সড়কগুলোতে গণপরিবহন কিছুটা কম থাকলেও ব্যক্তিগত পরিবহনের দাপট ছিল। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
চলমান অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘হরতাল অবরোধে এখন ফেসবুকে ইউটিউবে সীমাবদ্ধ। ভোরে ভোরে টুকটাক মিছিলের কথা শুনি, তবে দেখি না। আমাদের গাড়ি চালানো দরকার, ইনকাম করা দরকার, পরিবার চালানো দরকার। হরতাল নাকি অবরোধ সেই দিকে তাকালে কারো পেট ভরবে না। তাছাড়া মালিকপক্ষ থেকে কোনোধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞা নাই। ওনারা গাড়ি নিয়ে বের হতে বলে যা হবে পরে দেখা যাবে। তাই অবরোধে সড়কে কি হবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা নাই।’
অবরোধ সম্পর্কে গণপরিবহনে যাতায়াত করা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই সবার প্রয়োজনে বের হয়েছেন। কেউ অফিস করার উদ্দেশে, কেউ কলেজ ইউনিভার্সিটির যাওয়ার উদ্দেশে কেউবা আবার ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছেন।
ভিক্টর ক্লাসিক বাসে থাকা সাব্বির আহমেদ নামের একজন যাত্রী বলেন, প্রথম বর্ষের ভাইবা আছে তাই কলেজে এসেছি। শুরু থেকেই হরতাল অবরোধ নিয়ে যেরকম চিন্তাভাবনা ছিল এখন আর সেটা নেই। প্রথম প্রথম অবরোধে সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকতো, গণপরিবহন কিছুটা কম চলাচল করতো। কিন্তু এখন সব জায়গায় আগের মতো জ্যাম। কেউ বুঝতেই পারবে না অবরোধ চলছে।