ড. ফারজানা মাহমুদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ১৯৯৬ সালে।  পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট নূর চৌধুরীসহ ১১ জনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। নূর চৌধুরী আদালতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী একমাত্র শুটার হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়। মামলা দায়েরের সাথে সাথেই নূর চৌধুরী পলাতক হন এবং বিভিন্ন সূত্রমতে জানা যায়, গত ২৭ বছর ধরে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন।

কানাডার ইমিগ্রেশন আদালত নূর চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রাথমিকভাবে নাকচ করে দিয়ে তাকে ফেরত পাঠাতে চাইলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার (২০০৬) তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুইবেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বৈঠকের সময় নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে প্রতিউত্তরে ট্রুডো মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে কানাডার আইনি জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০২২ সালের নভেম্বরে, নূর চৌধুরীকে প্রত্যর্পণের জন্য ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের কাছে অনুরোধ করেন। হাইকমিশনারও উল্লেখ করেন যে কানাডার আইন অনুসারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের সুযোগ নেই।

জানা গেছে, নূর চৌধুরী প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (পিআরআরএ) দ্বারা প্রদত্ত সুরক্ষার অধীনে কানাডায় বসবাস করছেন। পিআরআরএ ইমিগ্রেশান অ্যান্ড রিফিউজি প্রটেকশান রেগুলেশন্সের ধারা ১১২ এবং ১১৩ এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পিআরআরএ-র আপীলে নূর চৌধুরী উল্লেখ করেন যে  বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। পিআরআরএ নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে তার জীবনের ঝুঁকি কতটুকু তা যাচাই করার সুযোগ দেয়, আপীলটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ১৯৭৬ সালে কানাডায় মৃত্যুদণ্ড প্রথা বাতিল করা হয়। কানাডিয়ান চার্টার ফর রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডম (“চার্টার”) কানাডিয়ান নাগরিকদের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার এবং নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সার্বিক পরিস্থিতিতে নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা আদৌ সম্ভব কিনা তা পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য কানাডিয়ান কিছু মামলা আমরা যাচাই-বাছাই করতে পারি।

কিন্ডলার বনাম কানাডা (মিনিস্টার অব জাস্টিস), [১৯৯১] ২ এস. সি. আর. ৭৭৯ মামলাটিতে কিন্ডলারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং অপহরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং জুরি মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করে। শাস্তি দেওয়ার আগে, কিন্ডলার কারাগার থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যায়, পরবর্তীতে সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কানাডার মিনিস্টার অব জাস্টিস কানাডিয়ান প্রত্যর্পণ আইনের (এক্সট্র্যাডিশন অ্যাক্ট) ধারা ২৫ অনুসারে কিন্ডলারকে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেয়। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে সম্পাদিত প্রত্যর্পণ চুক্তির (এক্সট্র্যাডিশন ট্রিটি) অনুচ্ছেদ ৬ অনুসারে মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা হবে না বা, যদি আরোপ করা হয় তবে তা কার্যকর করা হবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন কোনো আশ্বাস না নিয়েই  কিন্ডলারের প্রত্যর্পণের আদেশ দেওয়া হয়। প্রত্যর্পণ আইনের ধারা ২৫ একজন পলাতক ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করতে হবে কিনা এবং করতে হলে কী শর্তে তা, নির্ধারণে মিনিস্টার অব জাস্টিসকে নিজের ইচ্ছা প্রয়োগের অধিকার দেয়। অন্যদিকে প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ অনুসারে একটি দেশ যখন অন্য দেশের কাছ থেকে পলাতক আসামীর প্রত্যর্পণের অনুরোধ পায় তখন তার প্রত্যর্পণের পরে মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা হবে না, প্রত্যর্পণকারী দেশটি এমন আশ্বাস চাইতে পারে। পরবর্তীকালে, কিন্ডলারের শর্তহীন প্রত্যর্পণের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হলে, কানাডার সুপ্রিম কোর্ট অভিমত দেয় যে প্রত্যর্পণ আইনের ধারা ২৫ কানাডার চার্টারের অধীনে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারগুলি লঙ্ঘন করে না। আদালত আরও উল্লেখ করে যে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবার পর চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য কানাডা সরাসরি দায়ী না, সুতরাং মিনিস্টার অব জাস্টিসের শর্তহীন প্রত্যর্পণের আদেশ দেওয়ার  সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই  “নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি”-র বিরুদ্ধে পলাতক আসামির সাংবিধানিক যে অধিকার রয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হিসাবে দেখা যাবে না। কিন্ডলারের শর্তহীন প্রত্যর্পণের আদেশটি মৌলিক ন্যায়বিচারের নীতির লঙ্ঘন করেনি বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়।

এনজি বনাম কানাডা (১৯৮৯) ৯৭ এস. সি. আর. -৮৫৮ মামলাটিতেও সুপ্রিম কোর্ট একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল। মিনিস্টার অব জাস্টিস এনজিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিঃশর্ত প্রত্যর্পণের আদেশ দিলে এনজি সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট কিন্ডলারের আপিলের সাথে সঙ্গতি রেখে এনজি’র শর্তহীন আত্মসমর্পণের বিষয়ে মিনিস্টার অব জাস্টিসের সিদ্ধান্তের প্রভাব বিবেচনা করে। আমেরিকান নাগরিক এনজিকে ফেরত পাঠালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না এমন নিশ্চয়তা ছাড়া প্রত্যর্পণের আদেশকে আদালত বৈধ ঘোষণা করে। এনজি এবং কিন্ডলার উভয় মামলাতে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে যদিও কানাডা মৃত্যুদণ্ড প্রথা বাতিল করেছে, এখনও বেশিরভাগ দেশই মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেনি,  কানাডার  উচিত সেটিকে সম্মান করা।

কিন্ডলার এবং এনজির মতো আরও অনেক পলাতক ব্যক্তিকে কানাডা থেকে শর্ত ছাড়াই প্রত্যর্পিত করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা হবে না এমন আশ্বাস ছাড়াই কানাডার নাগরিক নন এমন পলাতক আসামীদের হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে কানাডার মিনিস্টার অব জাস্টিসের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় , কোনো আশ্বাস ছাড়াই হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দুইজন পলাতককে প্রত্যর্পণ করেছে যুক্তরাজ্য। কার্কউড বনাম ইউনাইটেড কিংডম, আবেদন নং ১০৪৭৯/৮৩-তে দেখা যায় যে, ইউরোপীয় মানবাধিকার কমিশন (ইসিএইচআর) ক্যালিফোর্নিয়ায় সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি এবং মৃত্যুদণ্ডের সার্বিক পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পলাতক আসামির প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে। এখানে ইসিএইচআর বলেছে, এই প্রত্যর্পণ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য ইউরোপীয় কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৩ এ বর্ণিত বিধান যা কোনো ব্যক্তিকে নির্যাতন, অমানবিক, অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়, সেটি লঙ্ঘন করে না।

বার্নস এবং রাফে বনাম মিনিস্টার অব জাস্টিস (২০০১) ১ এস. সি. আর. ২৮৩ মামলাটিতে  রাফে এবং বার্নস নামের দুইজন কানাডিয়ান নাগরিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর কানাডায় পালিয়ে যায়। মিনিস্টার অব জাস্টিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যকার প্রত্যর্পণ চুক্তি এবং বিদ্যমান প্রত্যর্পণ আইন অনুসারে বার্নস এবং রাফেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  ফেরত দেবার জন্য একটি শর্তহীন প্রত্যর্পণের আদেশে স্বাক্ষর করেন । মিনিস্টার অব জাস্টিস যুক্তি দেখান যে মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য  এমন প্রতিটি পলাতক আসামির ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে আশ্বাস চাওয়ার প্রয়োজন নেই। রাফে এবং বার্নসের মিনিস্টার অব জাস্টিসer রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি আশ্বাস দেওয়া ছাড়া প্রত্যর্পণের যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটি তাদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।  যখন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের সামনে আসে, বার্নস এবং রাফে দাবি করেছিলেন যে তাদের নিঃশর্ত প্রত্যর্পণের বিষয়টি কানাডিয়ানদের বিবেককে ধাক্কা দিবে কারণ ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ১৮ বছর এবং  কিন্ডলার বা এনজির বিপরীতে, তারা কানাডিয়ান নাগরিক ৷ এখানে উচ্চ আদালত উল্লেখ করেছে যে নিঃশর্ত প্রত্যর্পণের পক্ষে এবং বিপক্ষের কারণগুলির পর্যালোচনা এই উপসংহারে নিয়ে যায় যে ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত সমস্ত ক্ষেত্রেই পলাতক আসামির প্রত্যর্পণের আগে নিশ্চয়তা চাওয়া সাংবিধানিকভাবে প্রয়োজনীয় ৷ শর্তহীন প্রত্যর্পণ সাধারণত অসাংবিধানিক বলে ধারণা করার ক্ষেত্রে, আদালত “ব্যতিক্রম পরিস্থিতি” কি তা সংজ্ঞায়িত করেনি বা ব্যতিক্রম পরিস্থিতি প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড নিয়েও আলোচনা করেনি।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক ও আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সভ্য-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পলাতক অপরাধী প্রত্যর্পণ একটি সাধারণ বিষয়। ১৮৭৭ সালে, কানাডা প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়ন করে যা ১৯৯৯ সালে সংশোধিতও হয়। এই আইন কানাডার সাথে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে এমন যে কোনো দেশে পলাতক ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেয়। কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের কোনো চুক্তি নেই। নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কানাডার সাথে, নিশ্চয়তার ধারা বাদ দিয়ে,  একটি ব্যক্তি-নির্দিষ্ট প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। বাংলাদেশ নূর চৌধুরীর নিঃশর্ত প্রত্যর্পণের বিষয়টিকে ন্যায্যতা দিতে বার্নস মামলাটি সামনে আনতে পারে। বার্নস মামলায় কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্ট পলাতক আসামির নিঃশর্ত প্রত্যর্পণকে বৈধ প্রমানের জন্য ব্যতিক্রম পরিস্থিতির উপস্থিতির কথা বললেও তা দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেনি। যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা যেতে পারে যে গণহত্যা, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, সন্ত্রাসবাদ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো অপরাধগুলোর জন্য মৃত্যুদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা “ব্যতিক্রম পরিস্থিতি”-র আওতায় পড়ে। বাংলাদেশ যুক্তি দিতে পারে যে নূর চৌধুরী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সুতরাং, নূর চৌধুরীর শর্তহীন প্রত্যর্পণের  জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা একটি “ব্যতিক্রম পরিস্থিতি/কেস” হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। কিন্ডলার এবং এনজির উদাহরণও উদ্ধৃত করা যেতে পারে, যেহেতু এই মামলাগুলোতে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে কানাডিয়ান নাগরিক নন এমন দুইজন পলাতক ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিশ্চয়তার ধারাটিকে প্রয়োজনীয় বলে গণ্য করেনি। এখানে কার্কউড কেসটিও গুরুত্বপূর্ন, কেননা এই ক্ষেত্রেও ইসিএইচআর কোনো আশ্বাস ছাড়াই পলাতক আসামির প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে।

বাংলাদেশের নিজস্ব বিচারব্যবস্থা রয়েছে এবং সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান জীবন ও মানবিক মর্যাদার অধিকার রক্ষা করে এবং অঙ্গীকার করে যে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া কাউকে জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ কঠোরভাবে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মৃত্যুদণ্ডের অনুমতি দেয়। বাংলাদেশের আপামর মানুষ জাতির পিতা ও তার পরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। পলাতক খুনি নূর চৌধুরীকে নিঃশর্তভাবে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে কানাডা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিপরীতে কানাডা যদি নূর চৌধুরীর মতো স্বঘোষিত খুনিদের শর্তসাপেক্ষে প্রত্যর্পণের বিষয়ে অটল থাকে, তবে স্বভাবতই নূর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিরা অপরাধ করে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে কানাডায় পালিয়ে যেতে চাইবেন।

লেখক: আইনজীবী ও গবেষক।