সিলেট টেস্টের বাংলাদেশের প্রথম দিনটা ছিল অনেকটা মন্দের ভালো। ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করে প্রথম দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনের শুরুর বলেই সাজঘরে ফিরলেন শেষ ব্যাটার। এতে, স্কোরবোর্ড একই রেখে প্রথম ইনিংস শেষ করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ১৬৬ বলে ১১ চারের মারে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এছাড়াও মমিনুল ৩৭, শান্ত ৩৭, সোহান ২৯ ও অভিষিক্ত শাহাদত হোসেন দিপু করেন ২৪ রান।গতকাল (মঙ্গলবার) টেস্টের প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক অবস্থানে থেকে পেসারদের মোকাবেলা করতে থাকেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও জয়। দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিকদের চাপে ফেলতে পারতো কিউইরা। কাইল জেমিসনের এক ইনসুইং জাকিরের বাঁ প্যাডে লাগলে জোরালো আবেদন করে টিম সাউদির দল। আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নেন সাউদি। তবে ইন-সাইড এজের বদৌলতে সে যাত্রায় বেঁচে যান জাকির। ইনিংস বাড়ানোর লক্ষ্যে শান্তদের দ্বিতীয় দিনের শুরু প্রথম দিনে তিনশ পেরিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস তবে বিপত্তি আসা শুরু হলো স্পিন আক্রমণ আসার পরেই। ম্যাচের আগেই বোঝা গিয়েছিল এখান এবারতি সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। একাদশের মিলল তার সত্যতা, শেষে ম্যাচ চলাকালে। ১৩তম ওভারে প্যাটেলের এক বল অফ-স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে পড়ে লম্বা টার্ন নিয়ে সরাসরি আঘাত করে স্ট্যাম্পে। এরপর মাঠে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন শান্ত। প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেই অ্যাজাজ প্যাটেলকেই মারেন তিন ছক্কা। তার এই আগ্রাসনেরই যেন সুযোগ নিল সফরকারীরা। ২৫তম ওভারে কিউই অধিনায়ক বল থামালেন পার্ট-টাইম বোলার গ্লেন ফিলিপসের হাতে। দ্বিতীয় বলেই ধীরগতির এক ফুল টস বলে টাইমিং ঠিকঠাক করতে না পারায় ক্যাচ তুলে দেন। সেখানে কেন উইলিয়ামসন দারুণ এক ক্যাচ নিলে থামে ৩৫ বলের শান্তর ৩৭ রানের ইনিংস।
তবে সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছিল জয়-মমিনুল জুটি। যদিও পরে সেই স্পিনারেই ঘটে ফের বিপত্তি। দলীয় ১৮০ রানের মাথায় গ্লেন ফিলিপসের স্ট্রেইট ডেলিভারি মমিনুলের ব্যাটের নিচের কানায় লাগলে পেছেন থেকে তা তালুবন্দি করেন কিউই উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল। ৭৮ বলে ৩৭ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
থিতু হওয়া জয়-মমিনুল ফিরলেন চা বিরতির আগেই
ঝোড়ো শুরুর পর সাজঘরে শান্ত, মধ্যাহ্ন বিরতিতে দল
চা বিরতির আগে সেখানেই মূলত থামে বড় ইনিংসের ভিত। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন নিয়মিত যাওয়া-আসার মধ্যেই। থিতু হওয়ার পথে এগোনে মুশফিক (১২), মিরাজ (২০) ফেরেন ভুল শটে। শেষ পর্যন্ত ৮৫ ওভার শেষে আম্পায়ার ফেলে দেন স্ট্যাম্পের বেল।
সেখান থেকে রান বাড়ানোর আশায় দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন তাইজুল-শরিফুল। তবে প্রথম বলেই টিম সাউদির লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন শরিফুল (১৩)।
কিউইদের মূল বোলারদের ছাপিয়ে শান্তরা এদিন পড়েছে পার্ট-টাইম বোলারের জুজুতে। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এবং লাল বল হাতে নিজের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস। তার প্রথম শিকার, ঝোড়ো শুরু পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। এরপর একে একে মমিনুল, দিপু, সোহানের উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং ধ্বসের গুরু দায়িত্ব পালন করেন ফিলিপস। জেমিসন ও প্যাটেল নেন দুটি করে উইকেট।
দিনেই শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেল কিউইরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে ১১ রান করেছে সফরকারীরা।